
কার্বন নির্গমন কমিয়ে আনছে যুক্তরাষ্ট্র!!
ফারজানা হালিম নির্জন
“আমেরিকান লাং এসোসিয়েশন” এর একটি বৈঠকে সেদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলছিলেন-“ মহাবিশ্বের এই চমৎকার নীল বলটিকে রক্ষা করার জন্য সবাইকে একসাথে কাজ করার মন-মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসার আহবান করছি। আমরা তো এরই একটি অংশ! ” সেদিনের আশা-ব্যঞ্জক কথাগুলো যেন আরো একবার সত্য প্রমাণিত হলো,গতকাল সোমবারে প্রকাশিত সিদ্ধান্তটির মাধ্যমে।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কার্বন নির্গমনের পরিমাণ কমিয়ে আনার পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যেই বিদ্যমান বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো থেকে কার্বন নির্গমন ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনার আশ্বাস ব্যাক্ত করেছে দেশটির পরিবেশ রক্ষা সংস্থা (ই.পি.এ.)। আর বৈশ্বিক উষ্ণতার ভয়াবহতা মাথায় রেখে এমন একটি উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য এও বলা হচ্ছে যে, এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা’র আমলে নেয়া পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
বহু ধানাই-পানাই এর পর অবশেষে ২০০৫ সালকে কার্বন নির্গমনের ভিত্তিরেখা নির্ধারণ করা হয়। সেই মোতাবেক বলা হয়েছে, ২০০৫ সালের সাথে তুলনা করেই ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ % কমিয়ে আনা হবে দেশটির কার্বন নির্গমনের মাত্রা। এটি লক্ষ্যণীয় যে, ২০০৮ সাল থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যুৎ খাত থেকে কার্বন নির্গমনের হার কমে আসছে এবং দিন দিন তা কমছেই। “এনার্জি ইনফরমেশন এডমিনিস্ট্রেশন”-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমনের মাত্রা ২০০৫ এর তুলনায় প্রায় ১০ % কমেছে! কাজেই নিশ্চিতভাবে আস্থা রেখেই বলা যায়; ই.পি.এ. যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে,সেই লক্ষ্যমাত্রার দিকে একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
ই.পি.এ. এর প্রশাসক গিনা ম্যাকার্থি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র বৈষ্ণিক উষ্ণতার আলোচনায় পিছু হাঁটেনি,বরং দৃঢ়তার সাথে সামনের দিকে হেঁটে যাচ্ছে। তিনি এও প্রকাশ করেন, প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর সভাপতিত্বকালের শেষ তৃতীয় ভাগে এসে পরিবেশের ব্যাপারে দারূন প্রশংসনীয় সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন,যা তাঁর কাছে থেকে আশা করবার মতই একটি ব্যাপার।
যুক্তরাষ্ট্রের দেখানো পথকে হয়তো অনেক দেশই ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করবে, আর তাতেই বৈশ্বিক উষ্ণতার হাত থেকে একটু একটু করে রক্ষা পাবে পুরো বিশ্ব, এমনটি তো আশা করা যেতেই পারে !