![](https://www.environmentmove.earth/wp-content/uploads/2016/01/MG_0984.jpg)
গরীবের তরকারী । ছবি : ফাতেমা কিবরিয়া লাবণ্য
বাংলাদেশে লালশাক খুব জনপ্রিয় সবজি। এটি একটি ভিটামিন সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাদ্য।মূল্য একেবারে কম হওয়ায় ‘গরীবের তরকারী’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে লাল ও সবুজ শাক। তবে বাস্তবে ধনী ও গরীব সবশ্রেণীর মানুষের কাছেই রয়েছে শাক। বাংলাদেশে বহু ধরনের সবজির চাষ হয়।।বিগত ৫ বছরে সবজি চাষের জমি ও উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। শীত মৌসুম অধিকাংশ সবজি চাষের অনুকূল হওয়ায় মোট উৎপাদনের প্রায় ৭০ শতাংশ সবজি এ মৌসুমে হয়। বাংলাদেশে হেক্টর প্রতি সবজির ফলন উন্নয়নশীল দেশগুলোর চেয়ে কম। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি উন্নত জাত হাইব্রিড, উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তি, গ্রীষ্ম মৌসুমে সবজির আবাদ এবং বীজ উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে।। বিদেশে সবজি রফতানির সুযোগ থাকায় সবজির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
লালশাকের জাত : আলতা পেটি ২০, রক্ত লাল, বারি লালশাক ১, ললিতা, রক্তরাঙ্গা, পিংকি কুইন, রক্তজবা ও স্থানীয় জাত।উন্নত উদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে হেক্টর প্রতি ফলন ১২-১৪ টন হয়। ‘বারি লালশাক-১’ ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ।
মাটি : বেলে দোঁ-আশ থেকে এঁটেল দোঁ-আশ মাটি এবং যেখানে পানি জমে না এমন জমিই চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী।
বীজ বপন : লালশাক বীজ ছিটিয়ে ও সারিতে বপন করা যায়। তবে সারিতে বপন করা সুবিধাজনক। সারি থেকে সারির দূরত্ব ২০ সেন্টিমিটার দিতে হবে। একটি কাঠির সাহায্যে ১.৫-২.০ সেন্টিমিটার গভীর লাইন টেনে সারিতে বীজ বুনে মাটি সমান করে দিতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা : বীজ গজানোর ১ সপ্তাহ পর প্রত্যেক সারিতে প্রতি ৫ সেন্টিমিটার অন্তর গাছ রেখে অন্যান্য গাছ তুলে ফেলতে হবে। নিড়ানি দিয়ে জমি আগাছা মুক্ত রাখতে হবে। জমির উপরিভাগে মাটিতে চটা হলে নিড়ানি দেওয়ার সময় তা ভেঙে দিতে হবে।ঘন জায়গা থেকে চারা তুলে পাতলা করে দিতে হবে। ছিটিয়ে বোনা হলে প্রতি বর্গমিটারে ১০০ থেকে ১৪০ টি গাছ রাখতে হবে। ৪-৫ দিন পর পর সেচ দিতে পারলে ভাল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, এখন আর নির্দিষ্ট কোন মৌসুমে লাল শাক আবাদ ও উৎপাদন হয় না।তরকারীর বাজারে অন্য কোন সবজির ঘাটতি হলেও কখনো লাল শাকের ঘাটতি হয় না। লাল শাকের পাশাপাশি একই পন্থায় মাঠে এখন সবুজ শাকও উৎপাদন হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে। । লাল শাকের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি আগের চেয়ে অনেক বেশি হওয়ায় বীজ উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে।