চায়ের গুণাগুণ
একই ধরনের চায়ের পাতা থেকে তিন ধরনের চা তৈরি হয়। যেমন- গ্রিন টি, উলং টি, ব্ল্যাক টি। সতেজ সবুজ পাতা রোদে শুকিয়ে তাওয়ায় সেকে গ্রিন টি তৈরি করা হয়। গ্রিন টি সামান্য ফার্মেন্ট করলে হয় উলং টি। পুরোপুরি ফার্মেন্ট করলে হয় ব্ল্যাক টি।
* চায়ের পাতায় রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড, যার মধ্যে রয়েছে চমৎকার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। খাবারের সঙ্গে বেশি পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড শরীরে গেলে হৃদযন্ত্র বেশি সক্রিয় থাকে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে ।
* ফলমূল বা শাকসবজিতে যে পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, চায়ে এর চেয়ে বেশি পরিমাণে রয়েছে।
* গ্রিন টি পেটের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। গ্রিন টি দাঁতের ক্ষয়রোধ এবং মাড়ি মজবুত করে।
* দেহের কোনো অংশ কেটে গেলে সে স্থানে গ্রিন টির লিকারে তুলা ভিজিয়ে লাগালে রক্ত পড়া বন্ধ হবে।
* পোকামাকড় কামড়ালে যদি চুলকায় বা ফুলে যায়, সেখানে কাঁচা চা-পাতা ভিজিয়ে দিয়ে রাখলে আরাম বোধ হয়।
* খুব চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পর উলং চায়ের লিকার খেলে কোলেস্টেরল বাড়ার আশঙ্কা থাকে না।
* আবার রক্তে লৌহকণিকার প্রাধান্য থাকলে প্রধান খাবারের পর পরই চা পান করলে ভালো হয়। এতে লৌহ শোষণের মাত্রা কমে যায়। বিশেষ করে থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রে।
* চোখে ক্লান্তির ছাপ কাটাতে ভেজা টি-ব্যাগ চোখের ওপর রাখলে ক্লান্তি কমে।
* ত্বকে আঁচিলের সমস্যা দেখা দিলে চা-গাছের তেল প্রতিদিন ফোঁটা ফোঁটা করে আঁচিলের ওপর লাগাতে পারেন।
* চায়ে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম ও ক্যাফেইন। শরীরে আলস্য কাটাতে পটাশিয়াম ও ক্যাফেইনের জুড়ি নেই। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাদের জন্যও পটাশিয়াম উপকারী।
* চা-পাতা সিদ্ধ পানি চুল ঝরা রোধ করে। ২০-২৫টি কাঁচা চা-পাতা ও তুলসীপাতা একত্রে সিদ্ধ করে চুলে মেখে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে উকুন থাকে না।
সূত্রঃ দৈনিক কালের কণ্ঠ (১০/০৬/২০১৩)
http://www.kalerkantho.com/print_edition/index.php?view=details&type=gold&data=news&pub_no=1269&cat_id=3&menu_id=70&news_type_id=1&news_id=355323