
দাবানল সনাক্ত করার নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার
রুবানা তানজিন
গত বছর আমেরিকাতে ৯ মিলিয়নের অধিক একর জমি পুড়ে গিয়েছিল শুধুমাত্র দাবানলের কারনে। দাবানলের কারণ হতে পারে দৈনন্দিন সাধারণ ঘটনাবলী। আবার তা এমনভাবে আয়ত্বের বাইরে চলে যেতে পারে যে দমকলকর্মীরাও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন না। দাবানলের অনিশ্চিত আগুনের দমক এবং ধ্বংসের পথ হওয়া সত্বেও গবেষকরা আগুনের শিখার জীবনকাল থেকে এর জন্ম ভবিষ্যতবাণী করার উপায় খুঁজে পেয়েছেন।
বোল্ডার, কলোরাডোতে অবস্থিত ন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যাটমস্ফিয়ারিক রিসার্চ (NCAR) এবং ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের বিজ্ঞানিরা একটা প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন যা আবহাওয়া ও আগুনের মিথষ্ক্রিয়ায় কাটিং এজ সিমুলেশন্স এর (cutting edge simulations) সাথে স্যাটেলাইট দ্বারা পর্যবেক্ষনকৃত সক্রিয় দাবানলকে একত্রিত করে। এটাই সর্বপ্রথম কম্পিউটার মডেলিং যা আমাদের অবিচ্ছিন্ন এবং হালনাগাদকৃত দিনভর ভবিষ্যতবাণীর প্রতিশ্রুতি দেয়। কম্পিউটার মডেল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ যেমন আগুনের ফুলকির বিস্তার এবং এর আচরণের পরিবর্তন অনুমান করে প্রতি ১২ ঘণ্টা পর পর পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে।
“আমরা বিশ্বাস করি দাবানলের পুরোটা সময় ধরে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে অবিচ্ছিন্নভাবে সঠিক অনুমান দেয়া সম্ভব বিশেষ করে বড় ধরণের তীব্র দাবানলের ক্ষেত্রে যেখানে প্রচলিত ব্যবস্থা দুর্বল।” – বলেছেন NCAR বিজ্ঞানী জেনিস কোয়েন প্রধান লেখক ও আবিষ্কারক।
গত দশক ধরে কোয়েন একটা যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন যাকে বলা হয় কাপল্ড অ্যাটমস্ফিয়ার – ওয়াইল্ডল্যান্ড ফায়ার এনভায়রনমেন্ট (CAWFE) কম্পিউটার মডেল, যা সংযোগ ঘটায় কিভাবে আবহাওয়া / জলবায়ু আগুনকে পরিচালিত করে এবং এর মাধ্যমে কিভাবে আগুন তাদের নিজস্ব জলবায়ু তৈরি করে।
CAWFE ব্যবহার করে তিনি সফলভাবে দেখাতে পেরেছেন কিভাবে বড় ধরণের দাবানল তৈরি হয়। তবে এর জন্য প্রয়োজন সবচেয়ে হালনাগাদ তথ্য কারণ অনেকগুলো উপাদান/ ঘটনা দাবানলের আকার এবং এর পথ পরিবর্তন করতে পারে। আর এখানেই স্যাটেলাইট যন্ত্রাংশের প্রয়োজন।
এনভাইরনমেনটমুভ ডেস্ক