নতুন প্রকাশনাঃ জলবায়ু পরিবর্তনে স্থানচ্যুতি সমস্যার সমাধান সম্ভব

গত ২১ জুলাই একটি নতুন গবেষণামূলক বই প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে আশা করা হয়েছে নিরাপদ ভূমিতে বসবাসের অধিকার সংশ্লিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনে কারণে বিপুল সংখ্যক মানুষের স্থানচ্যুতি প্রতিরোধ ও পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মানবাধিকার ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ স্কট ল্যাকি কর্তৃক সম্পাদিত “ÒLand Solutions to Climate Displacement” প্রকাশনাটি জলবায়ু স্থানচ্যুতির শিকার বাংলাদেশ, ফিজি, কিরিবাতি, পানামা, পাপুয়া নিউ গিনি, টুভালু সহ ১২টি শীর্ষস্থানীয় দেশে মাঠ পর্যায়ে সরেজমিন কাজের উপর ভিত্তি করে প্রকাশিত হয়েছে।

নিজ ঘরবাড়ি ত্যাগ করতে বাধ্য হওয়া ক্রমবর্ধমান মানুষের নতুন জমি এবং জীবিকার সন্ধান করার জন্য জমির সঠিক পরিমাণ নিরুপণ করার প্রসঙ্গে এটি প্রথম প্রকাশনা ।

প্রকাশনা সম্পর্কে স্কট ল্যাকি বলেন ” আমরা এবং আমাদের সহযোগীরা জলবায়ু স্থানচ্যুতি সমস্যা হ্রাসে চার ধাপের পদ্ধতি যেমন-জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভূমি অধিগ্রহণ, পরিকল্পিত ও স্বেচ্ছায় স্থানান্তর. নতুন জাতীয় সংস্থা তৈরী এবং রাজনৈতিক উদ্যোগের সম্প্রসারণ প্রচেষ্টা নিয়ে আলোকপাত করেছেন এবং প্রক্রিয়াগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা অনেক হ্রাস পাবে বলে বিশ্বাস করি।scott leckie

এই প্রকাশনাটির যুক্তি হচ্ছে ঘরোয়া আবাসন, ভূমি ও সম্পত্তির আইন ও নীতিমালার সমস্যার সমাধানে ভূমি ভিত্তিক সমাধান ও অধিকার ভিত্তিক উন্নয়ন কৌশলের মাধ্যমে জলবায়ু স্থানচ্যুতি সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। উল্লেখ্য সম্প্রতি জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক হাই কমিশন ( ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যেকোন সময়ের তুলনায় বর্তমানে স্থানচ্যুতির যে হার তা ভবিষ্যতের জলবায়ু স্থানচ্যুত মানুষের সংখ্যার তুলনায় অতি নগন্য।

জার্মান সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় বইটি প্রকাশের লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছিল। স্কট জানান “আমাদের বইয়ে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে, বর্তমানে ব্যবহৃত ভূমিগুলো ছাড়া পৃথিবীতে এখনো পর্যাপ্ত ভূমি রয়েছে যেখানে জলবায়ু স্থানচ্যুত মানুষের প্রয়োজনীয় পূরণে সহায়ক হবে।

এই প্রকাশনায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, পৃথিবীর জলবায়ু স্থানচ্যুত জনসংখ্যার ভূমি ভিত্তিক সমস্যার সমাধানে ১২.৫ মিলিয়ন থেকে ৫০ মিলিয়ন ভূমির প্রয়োজন। স্কট ল্যাকি আশাবাদ ব্যক্ত করেন “যদি সরকার এবং সাধারণ মানুষ আন্তর্জাতিক সংকট জলবায়ু স্থানচ্যুতি প্রসঙ্গকে জোড়ালোভাবে গ্রহণ করে তবে ক্ষতিগ্রস্থ ও স্থানচ্যুত মানুষের ন্যায্য অধিকারের সমাধান সম্ভব।

উল্লেখ্য, বেসরকারী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা ইয়ং পাওয়ার ইন স্যোশাল এ্যাকশন সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক সংস্থা ডিসপ্লেসমেন্ট সল্যুয়েশন-এর সহযোগিতায় ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ হাউজিং, ল্যান্ড এন্ড প্রোপার্টি রাইটস ইনিটিয়েটিভ শিরোনামে জলবায়ূ স্থানচ্যুত মানুষের সমস্যা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিযোজন সম্পর্কিথ বেশ কিছু নীতিমালা বাংলাদেশ সরকারের থাকলেও জলবায়ু পরিবর্তনে স্থানচ্যুত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কোন নীতিমালা গ্রহণ করেনি। এই নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে ইপসা বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি পর্যায়ে এবং প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করে যাচ্ছে।

স্কট ল্যাকি একজন আন্তর্জাতিক আইনজীবি, গবেষক ও বিদেশী এনজিও ডিসপ্লেসমেন্ট সল্যুশনের নির্বাহী পরিচালক, যে সং স্থানে জলবায়ু স্থানচ্যুত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
http://displacementsolutions.org/

স্কট এর সাক্ষাৎকারের জন্য প্রয়োজনীয় যোগাযোগ :

Jackie Hanafie on +61 412 652 439 or jackie@fiftyacres.com

For review copies of Land Solutions to Climate Displacement please contact jackie@fiftyacres.com

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Discover more from EnvironmentMove.earth

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

Verified by ExactMetrics