পাইরেটস অব ফিলিপিন্স
‘পাইরেটস’ অব ফিলিপিন্স প্রখ্যাত অভিনেতা জনি ডেপের ‘পাইরেটস অব ক্যারিবিয়ান’-এর মতো কোনো চলচ্চিত্র নয়। এই জলদস্যুদের নিবাস মূলত ইন্দো-মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বৃষ্টি অরণ্য। কারডিওকনডিলা পাইরাটা সম্প্রতি ফিলিপিন্সে গভীর কালো চোখের এই নতুন প্রজাতির পিঁপড়ের সন্ধান পেলেন এক জার্মান পতঙ্গবিজ্ঞানী। পিঁপড়ে-সাম্রাজ্যে গভীর কালো চোখের অধিকারী শুধু মহিলা পিঁপড়েরাই। পুরুষ পিঁপড়েরা এমন সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, এই প্রজাতির পিঁপড়ের দেহ ঈষৎ স্বচ্ছ, ফলে বৃষ্টি অরণ্যের দুর্ভেদ্য অন্ধকারের মধ্যে এরা কার্যত অদৃশ্য হয়ে থাকে। শুধু চোখ দুটিই দেখা যায় এক অদ্ভুত রকমের ডোরাকাটা কালো দাগ, দূর থেকে দেখলে আচ্ছাদনের মতো মনে হয়। এমন বৈশিষ্ট্যের জন্যই এদের নাম জলদস্যু বা ‘পাইরেট’দের সঙ্গে মিলিয়ে রাখা হয়েছে ‘পাইরাটা’। অন্য দিকে এই বৈশিষ্ট্যটিই প্রজননের সময় এদের লিঙ্গ নির্ধারণে সাহায্য করে। কারডিওকনডিলা গণের পিঁপড়েদের ফিলিপিন্সে ১৮৬৯ সালে বিজ্ঞানীরা প্রথম খুঁজে পান। এই গণের অধীনে প্রায় ছয়টি ভিন্ন প্রজাতি আছে। তাদের আবার কমপক্ষে ১০৫ রকমের নাম আছে। গভীর কালো চোখ আসলে আত্মরক্ষার কারণেই মত বিজ্ঞানীদের। ‘জুকিস’ নামের একটি জার্নালে বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে প্রথম তাদের মতামত প্রকাশ করেন। সমীক্ষা অনুযায়ী গভীর জঙ্গলের মধ্যে শত্র“পক্ষের চোখকে ফাঁকি দিতেই তাদের এমন ঈষৎ স্বচ্ছ দেহ ও চোখের এই বিশেষ আচ্ছাদন।
সূত্রঃ দৈনিক মানব কণ্ঠ ২৯/০৬/২০১৩