
আসন্ন বাজেটে সকল তামাকজাত দ্রব্যের উপর উচ্চ কর আরোপের দাবি
তামাক এমন একটি ক্ষতিকর পণ্য যা উৎপাদন প্রক্রিয়াজাতকরন ও ব্যবহার পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রে পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। সরকারকে প্রতি বছর তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় প্রচুর অর্থ ব্যায় করতে হয়। রাষ্ট্র, সরকার, জনগন সকলের জন্য এ অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় এক ধরনের বোঝা। ক্ষতিকর এ পণ্য থেকে মানুষকে বিরত রাখার ক্ষেত্রে কর বৃদ্ধি একটি কার্যকর উপায়। তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর ও মূল্য বৃদ্ধি করে এ সকল ক্ষতিকর পণ্যকে মানুষের আয়ত্বের বাইরে নিয়ে যেতে হবে। আজ সকাল ১০:০০ টায় আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড এর সামনে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীন মাইন্ড সোসাইটি, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ও ডাব্লউবিবি ট্রাষ্ট এর যৌথ উদ্যেগে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচী ও লিফলেইট ক্যাম্পেইন থেকে উপরোক্ত দাবি করা হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গ্রীন মাইন্ড সোসাইটির সভাপতি আমির হাসান মাসুদ, সাধারন সম্পাদক ফারুক হোসেন, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের সহকারি এডভোকেসি কর্মকর্তা ইমান উদ্দিন ইমন, ফ্রেন্ডস ফোরাম বুড়িগঙ্গার সাধারন সম্পাদক সাহেব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক তুষার আহন্মেদ, কৃষ্টি পরিষদের ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, তামাক সেবনের কারনে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৫৭ হাজার মানুষ মৃত্যু আর ৩ লক্ষ ৮২ হাজার মানূষ পঙ্গুত্ব বরন করছেন। ক্ষতিকর এ পণ্য থেকে মানুষকে বিরত রাখার ক্ষেত্রে কর বৃদ্ধি একটি কার্যকর উপায়।উচ্চহারে কর আরোপ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাকের ব্যবহার কমাতে কার্যকর। বিশেষত তামাকজাত দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি কিশোর-তরুণদের ধূমপানসহ তামাকের নেশায় নিরুৎসাহিত করে। তরুণ সমাজকে আকৃষ্ট করতে তামাক কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের পন্থা অবলম্বন করছে। তরুণ সমাজের মধ্যে তামাক ব্যবহারের হ্রাস করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ এখনই গ্রহণ করা জরুরি। বাংলাদেশের সংবিধানে ১১ এবং ১৮(১) অনুচ্ছেদে মানুষের মৌলিক মানবাধিকার এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য হানিকর মদ ও ক্ষতিকর ভেষজ ব্যবহার নিষিদ্ধকরণের কথা বলা হয়েছে। তাই তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ একটি সাংবিধানিক দায়িত্ব।