উত্তাল সমুদ্রঃ বিপর্যস্ত জনজীবন!
ডেস্ক নিউজঃ
ভারী এবং একটানা বর্ষণে রাজধানী ঢাকা, চট্রগ্রাম ,খুলনাসহ দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত। উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট মৌসুমি লঘুচাপ এবং সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে গত বৃহস্পতিবার থেকে এই ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। এই বৃষ্টিপাত কমপক্ষে আগামী দুই দিন অব্যাহত থাকবে বলে বিবিসির নিউজ থেকে জানা গেছে। প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে জলোচ্ছ্বাস দেখা দিতে পারে। সেই সঙ্গে চট্রগ্রামসহ পার্বত্য জেলাগুলোতে পাহাড় ধসের আশঙ্কাও করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পাহাড় ধসের আশঙ্কায় গতকাল থেকেই বিপদজনক এলাকাগুলো থেকে পাহাড় ও টিলা অঞ্চলগুলোতে বসবাসকারী সকলকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। সেই সঙ্গে সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিতপ্তর জানিয়েছে, গত শুক্রবার চট্রগ্রামে এই মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। গত শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মাত্র ২৪ ঘণ্টায় চট্রগ্রামে ৩২৬ দশমিক ২ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এছাড়া রাজধানী ঢাকাতেও প্রবল বর্ষণে শান্তিনগর, মালিবাগ, মগবাজারসহ অনেক স্থানেই রাস্তায় পানি জমে গেছে। যার কারণে ছুটির দিনগুলোতে ঘরের বাহিরে বের হওয়াটা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় নি। আজ রবিবার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসেও প্রবল বর্ষণে অফিসগামী মানুষ ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
বিপর্যস্ত চট্রগ্রামের জনজীবনঃ
গত শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মাত্র ২৪ ঘণ্টায় চট্রগ্রামে ৩২৬ দশমিক ২ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। যা ছিল এই মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। চট্রগ্রামের বাস মালিক সমিতি জানিয়েছে, বন্দর নগরীর ষোল শহর, জিইসি মোড়, মুরাদপুর এলাকায় প্রবল বর্ষণে কোমর সমান পানি উঠে যাওয়ার কারণে বাস চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল।
চট্রগ্রাম শহরে পানি নিষ্কাশনের জন্য মূলত ১৬ টি খাল রয়েছে। কিন্তু এই খালগুলোর গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সবকয়টি জায়গাই বেদখল হয়ে রয়েছে। সময়মতো খনন না করাও জলাবদ্ধতার একটি বড় কারণ। কিছু কিছু জায়গায় খাল খনন করা হলেও প্রবল ও ভারী বৃষ্টিপাতে খননকৃত মাটি বৃষ্টিতে ধুয়ে আবারও সেই খাল ভরাট হয়ে গিয়েছে। আগামী দুই দিনের ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনায় নগরীতে আরও ভয়াবহ জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।