কচুর কিছুই ফেলনা নয় : ঝিনাইগাতীতে বাড়ছে চাষ

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) থেকে এস. কে সাত্তার : ঝিনাইগাতীর সবজি কচু। যার কিছুই ফেলনা নয়। প্রকারভেদে আমাদের দেশে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের কচু। কাঠ কচু, বিন্নি কচু, মুখী কচু, মান কচু ইত্যাদি ছাড়াও গ্রামাঞ্চলে পাওয়া যায় এমনিতেই গজিয়ে থাকা অন্না কচু। kocu

কচুর শাক-পাতা থেকে শুরু করে লতা এমন কি ডাঁটা (কান্ড) পর্যন্ত অত্যন্ত মুখরোচক সবজি হিসেবে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে সমাদৃত। আর সবজি হিসেবে কাঠ কচুর চাহিদাও ব্যাপক। এ কারণে ঝিনাইগাতীসহ দেশের প্রান্তিক চাষিরা ব্যাপকভাবে কচু চাষে ঝুঁকে পড়েছে। বর্ষাকালে তো কচু সবজি গ্রাম কিংবা শহরের মানুষের কাছে দারুণ প্রিয়। এই কচু ঝিনাইগাতীর চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে। এসব কচুকে এলাকাভেদে কোথাও পানি কচু, শোলা কচুও বলে। এসব কচুর লতি, পাতা, কান্ডসহ সব অংশই সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে কচুর লতি শুঁটকি মাছ দিয়ে রান্না করে খাওয়ার যে তৃপ্তি তা বলে শেষ করা যায় না। এ জন্য দেশে কচুর পাশাপাশি লতি এবং কান্ডও খুবই জনপ্রিয় সবজি। চিকিৎসকদের মতে কচু পাতা ও কান্ডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যারোটিন, ক্যালরি ক্যালশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বি এবং সি। কচুর শাকের ও চাহিদা ব্যাপক। চোখের বিভিন্ন রোগ, রাতে কম দেখা এবং শিশুর অন্ধত্ব থেকে বাঁচতে গ্রামাঞ্চলের লোকজন কচুর পাতা খেয়ে থাকে। কিন্তু কৃষি বিভাগের কোন পরামর্শ পায় না কচু চাষিরা। তারা সেই বাপ-দাদার আমল থেকেই নিজ প্রচেষ্টায় কচুর চাষ করে চলেছেন বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কচু চাষিদের। তারা জানান, কচু চাষ অত্যন্ত লাভজনক। সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শ পেলে তারা কচু চাষে আরো লাভবান হতেন এবং অনেক চাষি কচু চাষে ঝুকে পড়তো। আর এই কচু চাষ করেই তাদের অনেকেরই ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটতো। কিন্তু কৃষি বিভাগের এদিকে নেই কোন দৃষ্টি। নেই সরকারি কোন পৃষ্ঠপোষকতা।

সূত্রঃ দৈনিক ইনকিলাব (২১/০৮/২০১৩)

আরো দেখান

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Discover more from EnvironmentMove.earth

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

Verified by ExactMetrics