কার্বন ক্রেডিট পাবে না বাংলাদেশ
সঞ্চিতা সীতু
নিম্নমানের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতি (সিএফএল) বিতরণ করায় কার্বন ক্রেডিট পাবে না বাংলাদেশ। এরপরও আবার নতুন করে দ্বিতীয় দফায় সিএফএল বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। চলতি মাসেই বাতি কেনার দরপত্র আহ্বান করা হতে পারে।
এদিকে গত বছর সেপ্টেম্বরে বাতি বিতরণ করার কথা থাকলেও নিম্নমানের কারণে বিশ্বব্যাংক প্রথম দফায় টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে তদন্তসাপেক্ষে তারা এ খাতে আরো অর্থায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে অর্থ ছাড়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
২০১০ সালের ১৯ জুন দেশের ৫টি বিতরণ কোম্পানির মাধ্যমে প্রথম দফায় কেনা ১ কোটি ৫ লাখ সিএফএল বিতরণ করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ১ কোটি ৭৫ লাখ বাতি বিতরণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী ২৫ জুন এ বাতি কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে। এবার বিশেষায়িত হোল্ডারসহ সিএফএল বিতরণ করা হবে।
দাতাদের শর্ত অনুযায়ী, সিএফএল বিতরণ করে কার্বন নিঃসরণ কমাতে হবে। তাহলেই কার্বন ক্রেডিট পাওয়া যাবে। কিন্তু প্রথম দফায় বাতি বিতরণের পর কী পরিমাণ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়েছে, তার কোনো হিসাব নেই পিডিবিসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, প্রথম দফায় যে পরিমাণ কার্বন উৎপাদন কমার কথা, তা কমেনি। এ কারণে প্রথম দফায় বিতরণ করা ১ কোটি ৫ লাখ সিএফএল থেকে ৬ দশমিক ৯৪ সিআর (কার্বনের মাত্রা) বাবদ ৬০ কোটি ৩০ লাখ টাকা হারাচ্ছে সরকার।
প্রথম দফায় বাতি বিতরণের সময় বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছিল যে, কার্বন বিক্রি থেকেই দ্বিতীয় পর্যায়ে সিএফএল কেনার টাকা আসবে। দুই দফায় মোট ২ কোটি ৮০ লাখ সাধারণ বাল্বের বিনিময়ে ১৯ দশমিক ৩৩ সিইআর (কার্বনের মাত্রা) পাওয়া যাবে। যার আর্থিক মূল্য হবে ১৬৮ কোটি টাকা। ডেনিশ সরকার সিইআর কিনে নিয়েছে।
কিন্তু এখন বিদ্যুৎ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, প্রথম পর্যায়ে বাতি বিতরণের ৬ দশমিক ৯৪ সিইআর কার্বন মাত্রার জন্য ৬০ কোটি টাকা ডেনিশ সরকারের দেয়ার কথা থাকলেও নিম্নমানের ও হিসাব না থাকায় কার্বন ক্রেডিটের টাকা তারা দেবে না।
এদিকে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) এক সমীক্ষায় বলা হয়, প্রথম দফায় চীনা কোম্পানি ফায়ারফ্লাই লাইটিং থেকে কেনা ১ কোটি ৫ লাখ বাতির মধ্যে প্রায় ৪৫ লাখ ৯০ হাজার সিএফএল বাতি ৩ মাসের মধ্যেই নষ্ট হয়ে গেছে। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) প্রতিবেদন অনুযায়ী, নষ্ট, ভাঙা ও ব্যবহার-অযোগ্য সিএফএল বাতির সংখা আরো বেশি।
এ কারণে দাতারা অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। একই কারণে এবার বিশ্বব্যাংকের শর্ত হচ্ছে-সরবরাহ করা বাতির মানোন্নয়নে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে বাতি কেনা।
অ্যাফিসিয়েন্ট লাইটিং ইনিশিয়েটিভ ফর বাংলাদেশ নামে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২৮০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়। এর মধ্যে ২৭৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকার সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। বাকিটা সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে। প্রথম ধাপে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি বিদ্যুৎ বিভাগে এ বিষয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক সূত্র জানায়, প্রথমবার সিএফএল বিতরণে যে অনিয়ম হয়েছে এবার যেন তা না হয় সে জন্য কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেজন্য ক্রয় প্রক্রিয়ায় যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে ভালো বাতি কিনতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, এবার মোট ৮টি লটে বাতিগুলো আনা হলেও একইসঙ্গে বিতরণ করা হবে। মাসব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়ে বাতিগুলো বাড়ি বাড়ি গিয়ে লাগিয়ে দেয়া হবে। গতবার যেসব গ্রাহক সিএফএল পাননি এবার তাদের মধ্যে সিএফএল বিতরণ করা হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, বিতরণ কোম্পানিকে যত বাতি দেয়া হবে তারা তত হোল্ডার কিনবে। নিজস্ব উদ্যোগে বিতরণ কোম্পানিগুলো দরপত্রের মাধ্যমে হোল্ডার সংগ্রহ করবে। তিনি জানান, এবার বাতিগুলো ‘স্ক্রু’ পদ্ধতির হোল্ডারে সংযোজন করা হবে। এজন্য বিতরণ কোম্পানিকে গ্রাহকের কোনো অর্থ দিতে হবে না। এবার কার্বন ক্রেডিটের টাকা যাতে পাওয়া যায় সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বৈঠকে।
নিম্নমানের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতি (সিএফএল) বিতরণ করায় কার্বন ক্রেডিট পাবে না বাংলাদেশ। এরপরও আবার নতুন করে দ্বিতীয় দফায় সিএফএল বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। চলতি মাসেই বাতি কেনার দরপত্র আহ্বান করা হতে পারে।
এদিকে গত বছর সেপ্টেম্বরে বাতি বিতরণ করার কথা থাকলেও নিম্নমানের কারণে বিশ্বব্যাংক প্রথম দফায় টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে তদন্তসাপেক্ষে তারা এ খাতে আরো অর্থায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে অর্থ ছাড়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
২০১০ সালের ১৯ জুন দেশের ৫টি বিতরণ কোম্পানির মাধ্যমে প্রথম দফায় কেনা ১ কোটি ৫ লাখ সিএফএল বিতরণ করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ১ কোটি ৭৫ লাখ বাতি বিতরণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী ২৫ জুন এ বাতি কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে। এবার বিশেষায়িত হোল্ডারসহ সিএফএল বিতরণ করা হবে।
দাতাদের শর্ত অনুযায়ী, সিএফএল বিতরণ করে কার্বন নিঃসরণ কমাতে হবে। তাহলেই কার্বন ক্রেডিট পাওয়া যাবে। কিন্তু প্রথম দফায় বাতি বিতরণের পর কী পরিমাণ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়েছে, তার কোনো হিসাব নেই পিডিবিসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, প্রথম দফায় যে পরিমাণ কার্বন উৎপাদন কমার কথা, তা কমেনি। এ কারণে প্রথম দফায় বিতরণ করা ১ কোটি ৫ লাখ সিএফএল থেকে ৬ দশমিক ৯৪ সিআর (কার্বনের মাত্রা) বাবদ ৬০ কোটি ৩০ লাখ টাকা হারাচ্ছে সরকার।
প্রথম দফায় বাতি বিতরণের সময় বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছিল যে, কার্বন বিক্রি থেকেই দ্বিতীয় পর্যায়ে সিএফএল কেনার টাকা আসবে। দুই দফায় মোট ২ কোটি ৮০ লাখ সাধারণ বাল্বের বিনিময়ে ১৯ দশমিক ৩৩ সিইআর (কার্বনের মাত্রা) পাওয়া যাবে। যার আর্থিক মূল্য হবে ১৬৮ কোটি টাকা। ডেনিশ সরকার সিইআর কিনে নিয়েছে।
কিন্তু এখন বিদ্যুৎ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, প্রথম পর্যায়ে বাতি বিতরণের ৬ দশমিক ৯৪ সিইআর কার্বন মাত্রার জন্য ৬০ কোটি টাকা ডেনিশ সরকারের দেয়ার কথা থাকলেও নিম্নমানের ও হিসাব না থাকায় কার্বন ক্রেডিটের টাকা তারা দেবে না।
এদিকে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) এক সমীক্ষায় বলা হয়, প্রথম দফায় চীনা কোম্পানি ফায়ারফ্লাই লাইটিং থেকে কেনা ১ কোটি ৫ লাখ বাতির মধ্যে প্রায় ৪৫ লাখ ৯০ হাজার সিএফএল বাতি ৩ মাসের মধ্যেই নষ্ট হয়ে গেছে। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) প্রতিবেদন অনুযায়ী, নষ্ট, ভাঙা ও ব্যবহার-অযোগ্য সিএফএল বাতির সংখা আরো বেশি।
এ কারণে দাতারা অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। একই কারণে এবার বিশ্বব্যাংকের শর্ত হচ্ছে-সরবরাহ করা বাতির মানোন্নয়নে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে বাতি কেনা।
অ্যাফিসিয়েন্ট লাইটিং ইনিশিয়েটিভ ফর বাংলাদেশ নামে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২৮০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়। এর মধ্যে ২৭৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকার সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। বাকিটা সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে। প্রথম ধাপে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি বিদ্যুৎ বিভাগে এ বিষয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক সূত্র জানায়, প্রথমবার সিএফএল বিতরণে যে অনিয়ম হয়েছে এবার যেন তা না হয় সে জন্য কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেজন্য ক্রয় প্রক্রিয়ায় যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে ভালো বাতি কিনতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, এবার মোট ৮টি লটে বাতিগুলো আনা হলেও একইসঙ্গে বিতরণ করা হবে। মাসব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়ে বাতিগুলো বাড়ি বাড়ি গিয়ে লাগিয়ে দেয়া হবে। গতবার যেসব গ্রাহক সিএফএল পাননি এবার তাদের মধ্যে সিএফএল বিতরণ করা হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, বিতরণ কোম্পানিকে যত বাতি দেয়া হবে তারা তত হোল্ডার কিনবে। নিজস্ব উদ্যোগে বিতরণ কোম্পানিগুলো দরপত্রের মাধ্যমে হোল্ডার সংগ্রহ করবে। তিনি জানান, এবার বাতিগুলো ‘স্ক্রু’ পদ্ধতির হোল্ডারে সংযোজন করা হবে। এজন্য বিতরণ কোম্পানিকে গ্রাহকের কোনো অর্থ দিতে হবে না। এবার কার্বন ক্রেডিটের টাকা যাতে পাওয়া যায় সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বৈঠকে।
সূত্রঃ দৈনিক মানবকণ্ঠ ২১/০৬/২০১৩