কালবৈশাখীতে ৬ গ্রাম লণ্ডভণ্ড, নিহত ১
কালবৈশাখী ঝড়ে কুষ্টিয়ায় ঘরচাপা পড়ে সাহাজুল ইসলাম (৪৫) নামে একজন নিহত এবং নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন। এতে দৌলতপুর ও মিরপুর উপজেলায় একটি পুলিশ ক্যাম্পসহ ৬টি গ্রামের প্রায় ৫ শতাধিক কাঁচা-পাকা বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
দৌলতপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা অরুণ কুমার মণ্ডল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “তাৎক্ষণিকভাবে নিহত পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা এবং আহত প্রতিটি পরিবারকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা ও ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে। এছাড়া যাদের ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের পরিবার প্রতি ২ বান্ডিল করে ঢেউটিন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাত ৯টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার তালবাড়িয়া, লালনগর ও মিরপুর উপজেলার মালিথাপাড়া, পূর্বপাড়া, বিলপাড়া ও আমতলা গ্রামের ওপর দিয়ে এ ঝড় বয়ে যায়। প্রায় ২০ মিনিট স্থায়ী এ ঝড়ে গ্রাম ৬টি লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়।
এতে তালবাড়িয়া গ্রামের মস্তক আলীর ছেলে সাহাজুল ইসলাম ঘরের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ সময় জিয়া (৩৬), রোকেয়া (২৬), মানিক (৩), শান্ত (৬), আশানুর (২), নাসিম (৩০), সুমল ইসলাম (২৬), রায়তালী (২৬), উমি (৫), মনির (৮), আফসানা মিমি (১৩), লিটনসহ (১৩) কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়।
গুরুতর আহতদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল, মিরপুর ও দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, ঝড়ের তাণ্ডবে কালিদাসপুর পুলিশ ক্যাম্পসহ দুই উপজেলার প্রায় ৫ শতাধিক বাড়ি ভেঙে গেছে। এছাড়া বিনষ্ট হয়েছে কয়েক হাজার একর জমির বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসল।
এছাড়া শিলা বৃষ্টিতে বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি।
ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন, দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুণ কুমার মণ্ডল ও মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজাদ জাহান ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন।
সূত্রঃ দৈনিক সমকাল (৩০/০৪/২০১৩)