খাবারে এলার্জি !!!
সাবেরা সায়মা
মনে করুন,মহা আনন্দে বন্ধুর বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেছেন। কিন্তু, খাবার টেবিলে বসে খাবারের মেন্যু দেখে এক নিমেষেই আপনার সব আনন্দ হঠাৎ হাওয়া!!! খিচুড়ি,বেগুন ভাজা আর গরুর মাংস রান্না হয়েছে,যার মধ্যে বেগুন আর গরুর মাংস দুটিতেই আপনার এলার্জি। লোভ করে কয়েক টুকরো মাংস যদি খেয়েও ফেলেন,হজম করতে পারবেন না। চোখের পানি,নাকের পানি,চুলকানি,গায়ে লাল র্যাস হয়ে,যাচ্ছে তাই অবস্থা দাঁড়াবে। তাই নিজেই নিজেকে সান্ত্বনা দিয়ে থামিয়ে দিলেন,খেয়ে এত কষ্ট পাওয়া থেকে না খাওয়াটাই ভালো। এরকম খাবার,ঔষধ আর বাতাসের ধুলোবালিতে থাকা এলার্জেন এ যাদের এলার্জি তাদের বলা হয় এটোপিক(atopic)। আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দেহে কোন ক্ষতিকর বস্তুর উপস্থিতি টের পেলেই তার বিরুদ্ধে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যুদ্ধে রত হয় এবং এন্টিবডি নামক অস্ত্র দিয়ে ক্ষতিকর বস্তুকে ঘায়েল করে দেহ থেকে তা অপসারন করে। সাধারণ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এভাবেই কাজ করে। অপরদিকে এটোপিক অভাগাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা একটু বেশীই বোঝে। এদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিরপরাধ এলার্জেনকে শত্রু ভেবে,তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত হয়। মাস্ট কোষ নামক রক্ত কোষের গায়ে লেগে থাকা একপ্রকার এন্টিবডি নিরপরাধ এলার্জেন কে পাকড়াও করে, এর ফলে মাস্ট কোষ থকে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ যেমন হিস্টামিন,হেপারিন,ট্রিপটোজ ইত্যাদি নিঃসৃত হয়। এই নিঃসৃত রাসায়নিক পদার্থগুলোই মূ্লত এলার্জির বিভিন্ন উপসর্গের জন্য দায়ী। এলার্জি প্রতিরোধে কোন প্রতিষেধক বা ঔষধ এখন পর্যন্ত আবিষকার হয়নি। এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ এলার্জিক উপসর্গগুলোকে কমাতে পারে মাত্র। তাই এটোপিক অভাগাদের প্রতি পরামর্শ,প্যাকেটজাত খাবার গ্রহণের আগে তার উপাদানগুলো ভালো মতো পড়ে নিন আর কোথাও দাওয়াতে যাওয়ার আগে কৌশলে জেনে নিন খাবারের মেন্যু। ভালো থাকুন সব সময়……