গিনিপিগ
গিনিপিগ ইংরেজিতে হল Guinea Pig; এর বৈজ্ঞানিক নাম Cavia porcellus । এরা ইঁদুরজাতীয় ছোট্ট স্তন্যপায়ী প্রাণী। ল্যাটিন ভাষায় ক্যাভিয়া পোর্সেলাস শব্দের অর্থ হচ্ছে ছোট্ট শূকরশাবক। কিন্তু গিনিপিগের সঙ্গে শূকরছানার কোনো সম্পর্ক নেই। এমনকি এটি গিনি থেকেও উদ্ভূত নয়। জৈবরসায়নবিদগণ গবেষণা করে দেখিয়েছেন যে, গিনিপিগের আদি বাসস্থান হচ্ছে আন্দেস পর্বতমালা। ক্যাভি প্রজাতির সঙ্গে এদের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে এদের পরিচিতি রয়েছে। মূলত : এ কারণেই গিনিপিগকে বন্য পরিবেশে দেখা যায় না। জীববিজ্ঞানীরা সপ্তদশ শতক থেকে গিনিপিগের ওপর নানান রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন। উনবিংশ এবং বিংশ শতকেও আদর্শ প্রাণী হিসেবে এর ওপর ধারাবাহিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলতে থাকে। পরবর্তীকালে ইঁদুরের ওপর পরীক্ষাকর্ম চালানো হয়। এখনো গিনিপিগের ওপর ব্যাপকভাবে গবেষণা করা হয় যা মানব চিকিৎসার লক্ষ্যে ডায়াবেটিস, যক্ষ্মা, স্কার্ভি ও গর্ভধারণবিষয়ক জটিলতা নিরসনজনিত। গিনিপিগ ইঁদুরের চেয়ে বড় আকৃতিবিশিষ্ট হয়ে থাকে। এদের দেহের ওজন ৭০০ গ্রাম থেকে ১২০০ গ্রাম (১.৫-২.৫ পাউন্ড) পর্যন্ত হয়ে থাকে। দৈর্ঘ্য গড়পরতা ২০ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার (৮-১০ ইঞ্চি) হয়। সচরাচর এদের জীবনকাল গড়ে চার থেকে পাঁচ বছর। কিন্তু অনেক সময় আট বছরও হতে পারে। ২০০৬ সালের গিনেস বিশ্বরেকর্ড বইয়ে সবচেয়ে দীর্ঘজীবী গিনিপিগের বয়সসীমা উল্লেখ করা হয়েছে ১৪ বছর সাড়ে ১০ মাস।
জুনায়েদ তানভীর ২৩/০৭/২০১৩
এনভাইরনমেনটমুভ ডেস্ক