ডিসেম্বর ২০১৪ এর মধ্যেই ট্যানারী সাভারে স্থানান্তর; পবা নেতৃবৃন্দকে প্রকল্প পরিচালকের আশ্বাস

হাজারীবাগ ট্যানারী স্থানান্তরের অগ্রগতি ও স্থানান্তর জটিলতা বিষয়ে সম্যক জানতে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন-পবার একটি টিম “চামড়া শিল্প নগরী-ঢাকা” প্রকল্পের পরিচালকের সাথে মতিঝিলে তার কার্যালয়ে গত ২৮ অক্টোবর ২০১৩, বিকাল ৩:৩০মি. আলোচনা করেন। প্রকল্প পরিচালক পবা নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেন যে, হাজারীবাগ থেকে ট্যানারীসমূহ সাভারে স্থানান্তরের কাজ নতুন উদ্দ্যমে চলছে। ডিসেম্বর ২০১৪ এর মধ্যে ট্যানারীসমূহ সাভারে স্থানান্তরের কাজ শেষ হবে। এ বিষযে ট্যানারী মালিকদের সাথে ১৩ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে একটি সমঝোতা স্মারক(এমও ইউ) স্বাক্ষরিত হয়। কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) নির্মাণ কাজ তদারকি করার জন্য আগামী ১৫/২০ দিনের মধ্যে কনসালটেন্ট হিসেবে বুয়েটকে নিয়োগ দেয়া হবে।poribesh-bacao-poba

পবার প্রতিনিধিদের প্রশ্নের আলোকে প্রকল্প পরিচালক জানান যে, ট্যানারী মালিকদের ২৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে। সিইটিপি স্থাপনে ৪৩৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে, যা সরকার বহন করবে। ট্যানারী মালিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং জনগণের অর্থে সিইটিপি নির্মাণ ব্যয় বহনের বিষয়ে পবার প্রতিনিধিগণ জোর আপত্তি জানান। সিইটিপি নির্মাণ মালিকদের দায়িত্ব। সরকার জনগণের টাকায় চামড়া শিল্প নগরী গড়ে তুলেছে।

পবার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো: আবদুস সোবহান এর নেতৃত্বে আরোচনায় অংশ নেন পবার সাধারণ সম্পাদক কামাল পাশা চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আসলাম খান, সমন্বয়কারী আতিক মোরশেদ। প্রকল্পের পরিচালক আনিস উল হক চৌধুরী ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জয়নাল আহমেদ প্রকল্পের সার্বিক দিক পবা নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেন।

ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গা নদীর দূষণ রোধ এবং ঢাকা ও ঢাকার আশেপাশের এলাকার পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে পবা থেকে নিম্নবর্ণিত সুপারিশসমূহ করা হয়-

– সিইটিপি নির্মাণ ব্যয় সরকার কর্র্তৃক ঋণ হিসাবে প্রদান করা এবং পরবর্তীতে ট্যানারী মালিকদের কাছ থেকে তা আদায় করা।
– ট্যানারী মালিকদের ২৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করা থেকে বিরত থাকা। জনগণের এ টাকা কোন ভাবেই ট্যানারী মালিকদের প্রদান করা সমীচীন হবে না।
– হাজারীবাগের ট্যানারীগুলোর মালিকদের কাছ থেকে পরিবেশগত ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৪০৯ (দুই হাজার চার শত নয়) কোটি টাকা আদায় করা।
– হাজারীবাগের ট্যানারীগুলো স্থানান্তরের পর সে জায়গায় পার্ক, খেলার মাঠ, বিনোদন কেন্দ্র স্থাপনসহ পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা।

এনভাইরনমেন্টমুভ ডটকম ডেস্ক

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Discover more from EnvironmentMove.earth

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

Verified by ExactMetrics