ঢাকার যানজট হ্রাসে অবিলম্বে ঢাকা-টঙ্গী তৃতীয় ও চতুর্থ রেল লাইন স্থাপনের দাবি

নারায়নগঞ্জ-ঢাকা-জয়দেবপুর রেল লাইনটি যোগাযোগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। এই লাইনে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ট্রেনে করে কর্মস্থলে যাতায়াত করে থাকেন। তবে ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে দুইটি মাত্র লাইন থাকায় যাত্রী চাহিদা থাকা স্বত্ত্বেও নতুন ট্রেন চালু করা এবং ঢাকায় প্রবেশকারি পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের শিডিউল ঠিক রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য সরকার ২০১২ সালে ঢাকা- জয়দেবপুর রেললাইন চারলেনে উন্নীত করার প্রকল্প গ্রহণ করলেও টেন্ডার জটিলতার কারণে এষনও কাজ শুরু করা সম্ভব হয় নি। এমতবস্থায় ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের যাতায়াতের জন্য কমিউটার ট্রেন চালু, ঢাকায় প্রবেশকারী পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনের শিডিউল ঠিক রাখা এবং যানজট হ্রাসে ঢাকা-টঙ্গী তৃতীয় ও চতূর্থ রেল লাইন এবং টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর ডুয়েল গেজ ও ডাবল লাইন স্থাপন জরুরি। আজ ১৭ ফেব্র“য়ারি সকাল ১১ টায় পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট, নাসফ, ইউপিএফ এবং বিসিবিপি এর যৌথ উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাব এর সামনে “অবিলম্বে ঢাকা-টঙ্গী তৃতীয় ও চতুর্থ রেললাইন দ্রুত বাস্তবায়ন চাই” শীর্র্ষক মানববন্ধনে বক্তরা এই অভিমত ব্যক্ত করেন।Rail_Poba

নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসফ) এর সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়না এর সভাপত্তিতে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার মারুফ রহমান বলেন, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসফ) এর সাধারণ সম্পাদক তৈয়ব আলী, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর প্রোগ্রাম কো- অর্ডিনেটর আতিক মোর্শেদ, বিসিএইচআরডি এর সভাপতি মাহবুবুর রহমান, এবং জামালপুর ইউনাইটেড পীস ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক রাসেল প্রমুখ। মানববন্ধনে সঞ্চালনা করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ আতিকুর রহমান।

নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসফ) এর সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়না তার সভাপতির বক্তব্যে বলেন, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় দিনদিন যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে রেলের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সে অনুযায়ী রেলের সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়নি। তবে বর্তমানে রেলের উন্নয়নে দৃষ্টি দেওয়ায় আমরা আশান্বিত হয়েছি। রেলের যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধিতে ট্রেনের শিডিউল ঠিক রাখার জন্য ঢাকা শহরের যানজট কমাতে ঢাকা-টঙ্গী তৃতীয় ও চতুর্থ রেললাইন প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।

ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার বলেন, বাংলাদেশে অসমভাবে সড়ক পথের সম্প্ররণের খেসারত আমাদের দিতে হচ্ছে। এজন্য বৃদ্ধি পেয়েছে দূর্ঘটনা, যাতায়াত খরচ, সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ খরচ, দূষণ, জ্বালানী অপচয় ইত্যাদি। যা জাতীয় ও পারিবারিক পর্যায়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাই রেলকে অগ্রাধিকার দিয়ে এর উন্নয়ন করা জরুরি। ঢাকা থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত রেললাইন চারটিতে রূপান্তর এবং ঢাক-নারায়ণগঞ্জ ডাবল লাইন করা হলে নারায়নগঞ্জ টংগী, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, নরসিংদী ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার সাথে ২৪ ঘন্টা দ্রুত যোগাযোগে কমিউটার ট্রেনের ব্যাবস্থা চালু করা যাবে। যা ওই সকল অঞ্চলের মানুষের ঢাকা শহরে অবস্থিত কর্মস্থলে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।

পরিবশে বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর কো- অর্ডিনেটর আতিক মোর্শেদ বলেন, ঢাকা- টঙ্গী তৃতীয় ও চতুর্থ লাইন না থাকায় কমলাপুর থেকে প্রায় পৌনে ১ ঘণ্টা পরপর ট্রেন ছাড়তে হয়। এছাড়া পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা প্রায় ট্রেনগুলোকে লাইন ক্লিয়ারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেন দাঁড় করিয়ে রাখতে হয়। ঢাকা- টঙ্গী তৃতীয় ও চতুর্থ লাইন স্থাপন হলে ট্রেন চলাচলের সময় কমানো সম্ভব হবে।

এছাড়া মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসফ) এর সাধঅরণ সম্পাদক তৈয়ব আলী, বিসিএইচআরডি এর মাহবুল হক, জামালপুর ইউনাইটেড পীস ফাইন্ডেশন এর সাধারণ সম্পাদক রাসেল রহমান প্রমুখ।

এনভাইরনমেন্টমুভ ডটকম ডেস্ক

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Discover more from EnvironmentMove.earth

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

Verified by ExactMetrics