ঢাকা সবুজায়নের স্বার্থেই বেইলি রোডের নার্সারিটির রক্ষার দাবি
পরিবেশের বিপর্যয় রোধে যখন দেশে ব্যাপক বনায়নের প্রয়োজনীয়তা চরমাকারে প্রতীয়মান হচ্ছে, সেই সময় সামাজিক বন বিভাগের অধীনে পরিচালিত ৮০ বছরের পুরাতন বনায়নে গুরুত্বাবাহী রাজধানীর একমাত্র সরকারি নার্সারিটি বিলুপ্ত করে ভবন নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বেইলি রোড়ের এই নার্সারিটি ঢাকা শহরের বনায়নের জন্য একমাত্র গাছ সরবরাহকারী। পরিবেশগত গুরত্ববিবেচনায় কোনভাবেই বেইলি রোড়ের এই নার্সারি ধ্বংস করা যাবে না। আজ ২৩ মার্চ ২০১৪, পবা প্রতিনিধি দলের সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে সংগঠনের পক্ষ থেকে উক্ত অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন পবা’র উদ্যোগে উদ্ভিদ বিজ্ঞানী দ্বিজেন শর্মা, পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, বাপার যুগ্ম-স¤পাদক মোঃ শাহজাহান মৃধা বেনু, এ এন রাশেদা, প্রকোশলী ম. এনামুল হক, প্রীসের মহাসচিব ইফমা হোসাইন, বাপার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং বেইলি রোড়ের নার্সারি রক্ষা আন্দোলনের আহবায়ক মিহির বিশ্বাসসহ পরিবেশবিদ, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল আজ সকাল ১১.০০ টায় নার্সারিটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
উদ্ভিদ বিজ্ঞানী দ্বিজেন শর্মা বলেন ঢাকা শহরকে সবুজায়ন ধরে রাখতে এ নার্সারিটি রক্ষা করতে হবে এবং এর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ করতে হবে। এ নার্সারিটি যথাস্থানে রেখে সরকারী কমপে¬ক্স সরকারের অন্য জায়গায় নির্মান করা হোক।
পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, ঢাকা শহরের গাছপালা এবং সবুজায়ন ধরে রাখার জন্য এই নার্সারিটি ঢাকার সমস্থ বাড়ি, রাস্তা, ইস্কুল-কলেজ এবং বিনোদনের জায়গাগুলোর সবুজায়নের কেন্দ্রস্থল সিসেবে থাকবে।
পরিদর্শনের সময় বিভিন্ন ব্যক্তি বর্গের সাথে কথা বলে জানা জায় যে, প্রায় ৮০ বছর যাবৎ বেইলি রোড়ের এই নার্সারিটি ঢাকা শহরের সবুজায়নে প্রতিবছর ২৯৫ প্রজাতির দশ লক্ষ বৃক্ষ চারা সরবরাহ করে আসছে। শুধু তাই নয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিবছর যে জাতীয় বৃক্ষরোপন কর্মসূচী আয়োজন করেন তার সমস্ত চারা সরবরাহ থেকে শুরু করে যাবতীয় কর্মকান্ড পালন করে থাকে এ নার্সারিটি। সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, বাংলদেশ সেনাবাহীনি, বাংলাদেশ পুলিশ এ নার্সারিটি থেকে বিনা মূল্যে চারা সংগ্রহ করে ।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্ক, বেইলি রোড় এসব স্থানসমূহ সবুজের আবহে নগরবাসীর জন্য একটু নি:শ্বাস নেবার জায়গা। প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক বলয় এই স্থান। আদিবাসীদের জন্য ভবন নির্মাণের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মনে করি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ঢাকা শহরকে সবুজায়ন ও গ্রীণ শহর তৈরী করতে সরকারের অনেক পরিত্যক্ত সম্পত্তি রয়েছে প্রস্তাবিত ভবনটি সেখানে নির্মাণ করা যেতে পারে।