দেখে নিন মানুষের হিংস্র্রতা !!
সিফাত তাহজিবা
‘বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃকোড়ে’ – লাইনটা সবারই খুব পরিচিত। বনের পশুকে তার নিজ বাসস্থানেই থাকতে দেওয়া উচিত। পশু-পাখিকে খাঁচায় মানায় না। এই অবুঝ প্রাণীগুলোই আমাদের বাস্তুসংস্থানের হাতিয়ার। এরই মধ্যে অনেক প্রাণীই আজ বিপন্ন,কিছু কিছু বিলুপ্ত প্রায়!! তবুও,মানুষের ঘুমন্ত মানবতা জেগে উঠছে না। দিন দিন পৃথিবীর সেরা সৃষ্টি মানুষ অমানবিক,উন্মাদ হয়ে উঠছে!
বিচিত্রতায় ভরপুর এই দুনিয়া। এর প্রতিটা কোণায় কোণায় আপনার জন্য অপেক্ষা করছে বিস্ময়! যেমন মুসলিম প্রধান দেশগুলোর কথাই একবার ভেবে দেখুন না। না, এখানে ফিলিস্তিনের আর্ত চিত্ কার কিংবা ইরানের পারমাণবিক বোমের কথা বলা হচ্ছে না !! লক্ষ্য করুন, পারমাণবিক শব্দটায় মানবিক কথাটা আছে,যদিও বাংলা ব্যাকরণ অনুযায়ী তা ভুলের খাতায় নাম লেখাবে।
আপনার দেহের সমস্ত শিরা উপশিরা শিউরে উঠবে কয়েকটা ছবি দেখলে। একের পর এক ছবিগুলো দেখলে আঁতকে উঠবেন যে কেউ। অসুস্থতায়ও ভুগতে পারেন। দুর্বল চিত্তদের আগে থেকেই বারণ করা হল।
চারদিকের শুধু ভয়ার্ত কতগুলো নিষ্প্রাণ চোখ,পুড়ে কালো হয়ে যাওয়া নিথর দেহ আপনাকে দুঃস্বপ্নের ভিতরেও হানা দিবে!
কসাইগুলো লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,ক্রেতার সাড়া পেলেই বসে যাবে মাংস কাটতে! কোন ভয়ের সিনেমা বা খুনাখুনির কোন দৃশ্য নয়। এটি ইন্দোনেশিয়ার একটি দ্বীপ ‘সুলাএশি’র সনাতন বাজারের চিত্র! এখানে কি না পাওয়া যায়? বিড়াল,কুকুর,ইদুর,বাদুর থেকে শুরু করে বন্য শুকুরের ঝলসানো দেহ সারিসারি করে সাজানো রয়েছে। বাদ যায়নি বিরাটাকায় অজগর ও!
ব্রিটিশ’ডেইলি মেইল’ ২৭ ফেব্রুয়ারী এর উপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওমানের ফটোগ্রাফার এবং ব্লগার ‘রেমন্ড ওয়ালশ’ বাজারটি নিজ চোখে দেখে আসেন ও কিছু ছবি তোলেন, যেগুলো আপনাদের সামনের তুলে ধরার ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র।
যেখানে একদিকে বন্যপ্রাণী হত্যার উপর পরিবেশ সচেতন দেশগুলো বিধিনিষেধ আরোপ করছে সেখানে এই উন্নত প্রযুক্তির যুগে এসেও এশিয়ার একটি দেশে নির্বিচারে পশু-পাখীগুলোকে জ্যন্ত আগুনে পোড়ানো হচ্ছে।
এমনকি কুকুরগুলোকে মারার আগমূহুর্তে খাঁচায় রাখা হয় এবং চোখের সামনেই তারা দেখতে পায় অন্য কুকুরকে জ্যান্ত আগুনে দিয়া হচ্ছে। কি নির্মম।
কুকুর,বিড়ালকে অনেকেই পুষতে পছন্দ করেন। আদরপ্রিয় আর সুন্দর এই প্রাণীগুলোকে এখানে এভাবেই পরে থাকতে দেখবেন। আমাদের খাদ্যতালিকায় অনেক সুষম খাদ্য আছে তবুও কেন এমন অমানবিক আচরণ? কেন এভাবে নির্বিচারে প্রাণীদের মারতে হবে?