বাঘ গুনতে কত কৌশল
বাঘ পরিবীক্ষণ ও গণনার জন্য এর আগে সুন্দরবনে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন— বাঘের পায়ের ছাপ গণনা, খাল সার্ভে প্রভৃতি। ২০০৪ সালে সুন্দরবনে মূলত বাঘের পদচিহ্ন গণনার মাধ্যমে এর সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই জরিপে ৬ হাজার ১৭ কিলোমিটারের বিশাল সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা পাওয়া যায় মাত্র ৪৪০ এরপর নিয়মিতভাবে ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর খাল সার্ভে পদ্ধতিতে বাঘের সংখ্যা পরিবীক্ষণ করা হয়। কিন্তু সেসব পরীক্ষণে বাঘের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা ও প্রাচুর্য নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। তাই বর্তমানে বিজ্ঞানী মহলে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ক্যামেরা ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাঘ গণনার পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়। সে অনুযায়ী সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কার্যক্রমটি দুই পর্বে বিভক্ত। প্রথম পর্যায়ে ৩ থেকে ৬ মে ২০১৩ পর্যন্ত সুন্দরবনে কটকা-কচিখালী অঞ্চলে মাঠপর্যায়ে পাইলটিং ও প্রশিক্ষণ শেষে এ গণনা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে বর্ষাকাল শেষে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে প্রায় ৪৫ দিনের বাঘ পরিবীক্ষণ ও গণনা অনুষ্ঠিত হবে। এভাবে অদূর ভবিষ্যতে হয়তো আরো অদ্ভুত কিছু গণনা পদ্ধতির কথা আমাদের শুনতে হতে পারে
সূত্রঃ বণিক বার্তা ০৬/০৬/২০১৩