বিরল প্রজাতির স্বচ্ছ রক্তের মাছ

image_1375_339119.gif
জাপানের সি লাইফ পার্কে বসবাস অ্যান্টার্কটিকার এ বিরল প্রজাতির মাছটির

স্বচ্ছ রক্তের একটি মাছ চমকে দিয়েছে বিজ্ঞানীদের। বিরল এ মাছের নাম ‘আইস ফিশ’ জাপানের এক সংরক্ষণশালায় রয়েছে মাছটির নারী ও পুরুষের একটি জোড়া। এ মুহূর্তে মানুষের হাতের নাগালে এ প্রজাতির আর কোনো মাছ নেই বলেই ধারণা করা হচ্ছে। খবর মেইল অনলাইনের।
বিজ্ঞানীরা সবচেয়ে বেশি বিস্মিত হয়েছেন মাছটির রক্ত দেখে। এর রঙ লাল নয়। হিমোগ্গ্নোবিনের কারণে রক্ত লাল হয়। কিন্তু আইস ফিশের রক্তে হিমোগ্গ্নোবিন বলতে গেলে একেবারেই নেই। এ কারণে মাছটির রক্ত স্বচ্ছ। হিমোগ্গ্নোবিনের মাধ্যমেই অক্সিজেনের পরিচালন হয় শরীরে। বিরল এই মাছের আঁশও নেই। বিজ্ঞানীরা বলছেন, যেখানে অন্য প্রাণী-প্রজাতির রক্তে হিমোগ্গ্নোবিনের পরিমাণ ৪৫ শতাংশের বেশি, সেখানে আইস ফিশের রয়েছে মাত্র ১ শতাংশ।
২০১১ সালে অ্যান্টার্কটিকা মহাসাগরে ধরা পড়ে আইস ফিশ। বর্তমানে এর আবাস জাপানের টোকিওর সি লাইফ পার্কে। সেখানকার বিশেষজ্ঞ সাতোসি টাডা বলেন, ‘মাছটি সম্পর্কে খুব কমই জানা গেছে। সৌভাগ্যক্রমে আমরা আইস ফিশের একটি নারী ও একটি পুরুষ পেয়েছি। গত
জানুয়ারিতে মাছটি ডিমও পেড়েছে। বংশবিস্তার সম্ভব হলে হয়তো মাছটির গোপন অনেক খবরই জানা যাবে।’
বেঁচে থাকার কৌশল :দক্ষিণাঞ্চলীয় মহাসাগরের শীতল পানিতে অধিক পরিমাণে অক্সিজেন দ্রবীভূত থাকায় সেখানে আইস ফিশের বেঁচে থাকা সম্ভব হয়। তা ছাড়া পুরো শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করতে এই মাছ তার ব্লাড প্লাজমাকে ব্যবহার করতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, হিমোগ্গ্নোবিনযুক্ত মাছের তুলনায় আইস ফিশকে হৃৎপিণ্ডের কার্যক্রম পরিচালনা করতে দ্বিগুণ শক্তি ব্যয় করতে হয়। এমনিতে মাছটির হৃৎপিণ্ড অস্বাভাবিক বড় আকারের। এটি হয়তো তাকে হিমোগ্গ্নোবিনের ঘাটতি পুষিয়ে দেয়।

সূত্রঃ সমকাল ডেস্ক ,১০,০৪,২০১৩

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Discover more from EnvironmentMove.earth

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading

Verified by ExactMetrics