
প্রসাধন সামগ্রী থেকে পরিবেশের ক্ষতি !!
মহিউদ্দীন আহমদ মুন
মাইক্রোবিডস; প্লাস্টিক ধরণের রাসায়নিক উপাদান। আকারে ০.৫ থেকে বড়জোর ৫০০ মাইক্রোমিটার ব্যাস পর্যন্ত হতে পারে। দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত টুথপেস্ট থেকে শুরু করে ফেস ওয়াশ পর্যন্ত, বহু সামগ্রীতে এই উপাদানটি বেশ বড় জায়গা দখল করে বসে আছে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, পরিচিত বিভিন্ন পণ্যের (বিশেষ করে রূপচর্চা সামগ্রী ) মধ্যে অবস্থিত জনপ্রিয় এই উপাদানটি পরিবেশ দূষণ এর জন্য বেশ বড় ভুমিকা রাখছে। মাইক্রবিডগুলো আকারে এতোই ছোট যে,লবণের দানার সাথে তুলনা করলেও এটি হেরে যাবে।
বিজ্ঞানি মারকাস এরিক্সন এর মতে, ড্রেনে যাবার পথে এই ক্ষুদ্র কনা গুলো পানিতে থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ও কীটনাশক শোষণ করে নেয়,যা এগুলোকে এক একটি বিষাক্ত বড়িতে পরিনত করে ফেলে। তাঁর গবেষণা অনুযায়ী, এক টিউব ফেস স্ক্রাবে প্রায় ৩০০,০০০ মাইক্রোবিড থাকে!এছাড়া, পানিগ্রাসী যেসব গাছ আছে,তারা এসব মাইক্রোবিড সহজে গ্রহণ করতে চায়না। কাজেই পানির প্রবাহে মিশে গিয়ে সেসব কণা অনায়াসে পৌঁছে যায় নদী,খাল-বিল,সমুদ্রে। আর মাছের পেটে ঢুকে কিংবা,বিভিন্ন উপায়েই খাবারের মাঝে ঢুকে গিয়ে সরাসরি চলে আসে আমাদের খাবারের প্লেটে।
The Environmental Protection Agency এইসব মাইক্রোবিডদের নিয়ে সম্ভাব্য ঝুঁকি কী হতে পারে,তা নিয়ে এরই মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে। Procter & Gamble, Unilever,Johnson & Johnson, Colgate-Palmoliveইত্যাদি, এই ধরণের বিভিন্ন বড় বড় প্রসাধনী কোম্পানি এসব ক্ষতিকর ক্ষুদ্রকায় প্লাস্টিক পলিমার ব্যাবহার না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। Johnson and Johnson এর জ্যেষ্ঠ বার্তা পরিচালক, ক্যারল গুড্রিচ বলেন তাদের পন্যে এই ধরনের ক্ষুদ্র প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে, তবেতিনি আশ্বস্ত করেছেন, আগামী বছরের মধ্যেই তারা অর্ধেক পরিমাণ পন্য থেকে মাইক্রোবিডদের অপসারণ করবেন। এছাড়াও তিনি জোর দিয়ে বলেন, এ ধরণের ক্ষতিকর মাইক্রোবিডের বদলে পরিবেশবান্ধব বিকল্প কোনো সমাধান তারা নিশ্চয়ই বের করে ফেলবেন।
ভিডিও রিপোর্টঃ
সোর্সঃ সিবিএস নিউজ