
মানিকজোড়ের খোজেঁ
জা.বি–তে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট করছেন আমাদের বার্ডস বাংলাদেশ-এর সতীর্থ বিসর্গ দা। তার স্ট্যাটাসে চোখে পড়ল পদ্মারচরে তিনি ব্ল্যাক স্টর্ক (কালো মানিকজোড়) দেখেছেন – এই কিছুদিন হল মাত্র – সাথে কিছু অতিথি পাখি। সিলেট শা.বি.প্র.বি-তে চলে যাবার আগে তাই মনে হল, ছেলেবেলার-বড়বেলার রাজশাহী থেকে ঘুড়ে আসবার দারুণ সুযোগ হতে পারে এটি। স্কুলের কাছের বন্ধুদের সাথে প্রথম ফিল্ড ট্রিপ – ধারণাটা মোটেও মন্দ নয়!
প্রখর রুদ্র আর দীর্ঘদেহী বাশারকে নিয়েই যাত্রা আরম্ভ করা গেল। অনেক আলোচনা আর খোঁজাখুজিঁর পরও বিসর্গ দা’র দেয়া সেইব্ল্যাক স্টর্ক এর স্পটিং সাইট ‘খিদিরপুর’ কোনভাবেই আমরা খুঁজে বের করতে পারলাম না। কী আর করা! অগত্যা আমরা শহররেরই কোল ঘেঁষাপদ্মার বিশাল বালুচরগুলোকেই উদ্দেশ্য করে যাত্রা শুরু করলাম। চিরচেনা শহর রক্ষা বাঁধের কাছে আসতেই দেখা পেলাম ডোরা কাঠবেরালীর।

দারুণ কিছুস্ন্যাপ নিয়ে এগিয়ে গেলাম ‘আই’ বাঁধের দিকে। বুনো প্রাণীর জন্য শহরের এই প্রান্তটি সত্যিই অভয়ারণ্য। কেণ্দ্রীয় কারাগারের সীমানায় চলে এসে টের পেলাম ফাগুনের আগুন সত্যিই দাউ-দাউ করে জ্বলছে – পলাশে-শিমুলে। ফাঁকা ডাল পালার একটি কৃষ্ণচূড়ায় কাক-পক্ষীদের সন্দেহজনক শোডাউন দেখে টের পেলামগাছের আগায় এক অনাহূত অতিথিকে জ্বালাতন করতেই তাদের এতো উদ্যোগ! চিনতে ভুল হলনা মোটেও – অতিথির নাম ধলা/আদা চিল (ব্ল্যাক শোল্ডারড কাইট) প্রায়শ: দেখা মেলেঢাকা থেকে খুলনা যাবার পথে। দেখতে পুরোটাই সাদা-ধূসর, ঘাড় এবং পাখায় খানিকটা কালো আর চোখের আইরিস টকটকে লাল পাখিটি তার দু-একটা ছবি নিতে দিতে মোটেও কার্পণ্য করলো না।ভাত শালিক আর গাঙ শালিকদের শেষ দুপুরের অলস গ্রুমিং এর মধ্য দিয়ে যেতে যেতে শিমলা পার্কের মধ্য দিয়ে চলতে চলতে দেখা পেয়ে গেলাম আমার খুব প্রিয় একটি পাখির। নাম তার সুঁইচোরা। কেউ বা ডাকেবনস্পতি/পোক খাউরি।

শেষোক্ত অংশটুকু ইংরেজি নামের সাথে সুন্দর মিলে যায় ‘গ্রিণ বি-ইটার’ – মধ্য আকাশে দক্ষ বৈমানিকের মতো ডিগবাজি দিয়ে মাছি কিংবা ফড়িং ধরা তার কাছে কোন ব্যপারি না! অসম্ভব সুন্দররং পাখিটির। গোটা শরীর টিয়া সবুজ, গলায় সবুজ আর মাথার উপর দিকটা কমলাটে, বাঁকানো লম্বাটে কালো ঠোঁট। লেজের শেষ দিকটায় লম্বা সূচালো প্রবৃদ্ধিই হয়তো সূঁইচোরা নামের জন্য দায়ী। এগিয়ে গেলাম আমরা। যেতে যেতেইডুমুর গাছে দেখা মিলল টুনটুনি (কমন টেলর বার্ড), তিলা ঘুঘু আর লালমাথা-সোনালী কাঠঠোকরা’র (ব্ল্যাক রাম্পড ফ্লেমব্যাক) সাথে। বাদ গেলনা এক জোড়া হাড়িচাচাও (রুফাস ট্রিপাই) লম্বা লেজের এই পাখিটি কাকের পরিবার ‘করভিডি’র সদস্যহলেও দেখতে মোটেও কালো নয় বরং হলুদ, সাদা আর কালো মেশানো। আই বাঁধের মাথায় এসে পৌঁছানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই বন্ধুদের বাকিরা হাজির। স্মৃতিচারণ আর উত্তপ্ত নতুন বিষয়গুলো নিয়ে স্যাম, শাকিক, খুশবু, হাসিব, ফয়সাল, এবিবিস, মোহনদের নিয়েঅগ্রসর হতে লাগলাম চরের দিকে – সবাই মিস করছিলাম রাচিকে। এই আট বছর আগেও বর্ষায় প্রমত্তা পদ্মার বাঁধের কাছে আসতে ভয় করত সবার। মুহুর্মুহু ঢেউয়ের গর্জনের সেই দাম্ভিক পদ্মার বর্তমানের শূণ্য বুক চিরে হেঁটেই পার হতে লাগলাম আমরা। শূণ্য বললে বেশ ভুলই হবে।পরিবেশ বিপর্যয় বোধহয় চটপটি-ফুচকার ব্যবসায়ী আর জুটিদের সাথে আঁতআঁত করেই পদ্মার বুকে বালুচর ফেলে দিয়ে গেছে। ঘাট-কলমি আর তিশি-মটরের চাষ অনেক বাস্তুহারার জন্য নতুন আশা জাগিয়েছে বইকি! মনে হতে লাগলো যেখানটায় দাড়িয়ে আছি আমরা, সেখানেই বাসা বেঁধেছিল হয়তোকোন শুশুক (গ্যানজেস রিভার ডলফিন) কিংবা কোন ঘড়িয়াল যারা আজ আই,ইউ,সি,এন এর মতে ‘গ্লোবালি এন্ডেন্জার্ড স্পিশিজ’ নিচু বালুচর হতে আমরা আরো উঁচু পলির জমিতে উঠে এলাম। পলির ঢালে অজস্র গর্ত সুঁইচোরা/আবাবিল/মাছরাঙা পাখিরা করে থাকে (মনে পড়ে গেল হুমায়ুন আহমেদের গল্পের কথা,যেখানে তিনি লিখেছিলেন গাছের ডালে মাছরাঙার বাসা বাঁধবার কথা, অথচ ওরা বাসা বাঁধে বালিতে বা পাড়ের এরকম গর্তে) এগুলোতে শীতনীদ্রারত দু-চারটে দখলদার গোখরা থাকাও অসম্ভব নয়! আমার আর শাকিক এর হেরপেটলজি’র পুরনো প্রেম খানিকটা কৌতুহল ঠিকই সৃষ্টি করছিল বৈ কি! পলির উপর মূলত:উর্বর মাটির কারণে গড়ে উঠেছে বিস্তীর্ণ লম্বা ঘাসের তৃণভূমি।

অদ্ভূত নিস্তব্ধ জায়গাটিতে আমাদের বুনো অনুপ্রবেশ কিছু পাখিদের শংকিত করে তুলছিল। তারা আমাদের চারপাশে ওড়াউড়ি করতে লাগলো। পড়ন্ত বিকেলে ক্যামেরায় ছবি নেয়া ক্রমেই দু:সহ হয়ে উঠছিল।তৃণভূমির এই পাখিগুলোকে ঠিক চিনতে পারছিলাম না। ব্যাগপ্যাক থেকে ড. মনিরুল খানের ফিল্ড গাইড দেখে প্রথমিকভাবে সনাক্ত করা গেল ‘জিটিং সিস্টিকোলা’ যার বাংলা নাম খুব সম্ভবত ভোমরা ছোটন। আলোর স্বল্পতার কারণে ওখানেই ইনিংস ডিক্লেয়ার করে ফিরে এলাম আমরা শহরে।
রাতে বার্ডস বাংলাদেশ-এ ছবি আপলোড করতেই অবাক হতে হল। সি.এম রেজা ভাইয়া কনফার্ম করলেন গ্রাসল্যান্ডের পাখিগুলো এক প্রজাতির নয় বরং তিনটি সম্পূর্ণ আলাদা রকম পাখি! ছোটন তো রয়েছেই, সাথে লম্বাটে গড়নের ‘টওনি পিপিট’ আর কালচে ‘কমন স্টোনচ্যাট’ (পাতি শিলাফিদদা)পরদিন সকালের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম, দিনের আলোয় কিছু সুন্দর মুহুর্ত ক্যামেরায় বন্দী করতে সত্যিই আর অপেক্ষা সইছিল না।
ঠিক আটটায় আবার সবাই একত্রিত হলাম পলির চরে। সাথে একজন নতুন, আমাদের ফরহাদ মহসিন। উঁচুতে উঠবার আগেই ছোট্ট এক জোড়া পাখি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বারবার অন্যদিকে সরিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছিল ‘পিউপিউ’ আওয়াজ করতে করতে। বুঝতে আর বাকী রইলনা তাদের উদ্দেশ্য-বধেয়।সম্ভবত এই জিড়িয়াজোড়া (লিটল রিংড প্লভার) কাছের কোথাও বালিতে ডিম দিয়েছে এবং আমাদের বালির বাসা থেকে দূরে নিয়ে যেতেই বাবা-মা’র এতো প্রয়াস। প্রজনন সময়ে এদের চোখের চারপাশে হলুদ একটি রিং তৈরী হয় যা তাদের চিন্হিতকরণে সাহায্য করে। পাখিরা পরিবেশগত পরিবর্তনের একধরনের বায়ো ইন্ডিকেটর হিসেবে কাজ করে। নির্দিষ্ট এলাকার প্রজাতির পপুলেশানের পরিসংখ্যান পরিবেশগত পরিবর্তনের প্রকটতা জানতে সাহায্য করে। জিড়িয়াদের আর চিন্তিত না করে আমরা এগুতে থাকলাম। চোখে পড়তে লাগলো স্টোনচ্যাট, সিস্টিকোলা আর পিপিটদের। ছবি নিতে নিতে নদী পার হবার প্রত্যয় নিয়ে আমরা এগিয়ে চললাম।ভারতীয় সীমানার কাছে প্রায় সময়ই সাদা বক (হোয়াইট এবং ক্যাটল এগ্রেট), বিভিন্ন প্রজাতির পরিজায়ী আর স্টর্কদের দেখা মেলে। যেতে যেতে নাম না জানা বনফুল বারবার ফেলে আসা নওয়াজেশ আহমদের ‘ওয়াইল্ড ফ্লাওয়ারস অব বাংলাদেশ’ বইটির অনুপস্থিতির কথা মনে করিয়ে দিতে লাগলো। তবে নীল কলমির পরিকল্পিত আধিক্য ছিল চোখে করবার মতো।পথে একজন ঘাস কাটুরে নারীর সাথে দেখা হওয়ায় জানতে চাইলাম ওপারে কতোক্ষণে যাওয়া যাবে আর পাখি কোন দিকে পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু প্রত্যুত্তরে যা পেলাম তা রীতিমত ভীতিকর!! তিনি সামনের অবধারিত বিপদের কথা আগেভাগে জানিয়ে সাবধান করে দিলেন আর আমাদের বললেন ফিরে যেতে। ক্ষণিকের জন্য বিরাট সিদ্ধান্তহীনতায় পড়ে গেলাম আমরা।সবার হাতে কিছু না কিছু ইকুইপমেন্ট থাকায় পিছু হটাটাই শ্রেয় মনে হল। তবে যাত্রার সমাপ্তি না টেনে পশ্চিমে না গিয়ে আমরা পলির পাড় বরাবর উত্তরে এগুতে থাকলাম দৈর্ঘ্য বরাবর। পার্চিং পাখিদের চরে বেড়ানোর জন্য সকালবেলার সময়টাতে থাকে সর্বোচ্চ ব্যস্ততা। মধ্য দুপুর পর্যন্ত এই ব্যস্ত সময়ই স্পটিং এর জন্য আদর্শ। সবাইকে চমকে দিয়ে হঠাৎ রক্তচোষা গিরগিটির আবির্ভাব।যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত সরিসৃপবিদ সিজার রহমানকে প্রশ্ন করেছিলাম এরা কামড় দেয় কী না এবং কামড় বিপজ্জনক কী না। জবাবে তিনি বলেছিলেন যেহেতু দাঁত আছে কামড় দেবেই কিন্তু বাংলাদেশী কোন গিরগিটি বিষাক্ত নয়।

আড়মোড়া ভেঙে এই সরিসৃত হয়তো খাবারের সন্ধানে বেরিয়েছিল। খুজেঁ পেলাম একজোড়া খনজন/লেজ নাচানি পাখি (হোয়াইট ওয়্যাগ টেইল) চরের মাঝে স্বচ্ছ পানি জমেতাতে আকাশের নীল প্রতিফলিত হচ্ছিল। সেই পানিতে মাছ শিকারে আর পাখা শুকোতে ব্যস্ত একজোড়া পানকৌরি (লিটল কর্মোরান্ট) সাবধানী পায়ের মৎস্যজীবি কানিবক আর চমৎকার রংয়ের মাছরাঙাও বাদ গেল না। শহরের সীমা ছুঁইছুঁই হলে নদী পেরিয়ে রাস্তায় ফিরবার পালা যখন, প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তির হিসেব কষতে কষতে হঠাৎ মাথার ঠিক উপর দিয়ে উড়ে চলে গেল অসম্ভব সুন্দর আরেকটি পাখি।আমার বহুল প্রতিক্ষিত সাদা মাছরাঙা (পাইড কিংফিশার) অবাক চোখে তাকিয়ে থাকতে ভুলেই গেলাম ছবি নেবার কথা। সব শেষে টুনটুনি গোছের কদাচিত দেখা মেলা লম্বাটে লেজের গ্রেসফুল প্রিণিয়ার দেখা পেলাম।অপরূপ নিসর্গের মাঝে আমাদের অন্যরকম গেটটুগেদারটি পাপ্তি দিয়েই শেষ হল। চিরচেনা পদ্মাকে নতুন করে আরেকবার চিনতে পারলামঅ সত্যি বলতে কী, আমরা আমাদের চারপাশের দুনিয়াকে যদি আরেকটু গুরুত্ব দিয়ে দেখি, আমাদের এটি প্রতিক্ষণ অবাক করে দেবার ক্ষমতা রাখে। বাংলাদেশে প্রায় ৬৯০ প্রজাতির পাখি দেখা যায় যাদের মধ্যে ৩৮০টি স্থায়ী বাসিন্দা।

শীতকালীন অতিথি ২০৯টি, গ্রীষ্মকালীনপরিজায়ী ১১টি এবং বাকি ৯০টির মতো ভ্যাগর্যান্ট বা ভবঘুরে। আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয় হল যে বাংলাদেশে প্রাপ্ত মোট পাখির প্রতাতি সংখ্যা সমগ্র ইউরোপ মহাদেশের পাখির প্রজাতির সংখ্যার সমান! সহজেই অনুমেয় যে জীববৈচিত্রের দিক থেকে কতোখানি সমৃদ্ধ আমাদের দেশ। কিন্তু সত্যিকথা বলতে গেলে কিছু গতানুগতির বোরিং আলাপ চলে আসে। পাখিসহ সকল বণ্যপ্রাণির টিকে থাকা প্রতিনিয়ত অসম্ভবহয়ে আসছে আমাদের কাগজের চাহিদার জন্য, দেশলাইয়ের কাঠি বাঁচাতে অযথা গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রাখবার জন্য কিংবা অদ্ভুত শখ ‘ট্রফি হান্টিং’ আর কিছু মানুষের বিকৃত মানষিকতার জন্য। চিড়িয়াখানায় ময়ূরের পেখম পারপিস মাত্র ১০টাকায় বিক্রি হতে দেখে অনেকের মনে হতে পারে বাংলাদেশে আর যাই হোক, ময়ূরের কোন অভাব নেই! কিন্তু আমরা কি জানি যে আশির দশকের পরথেকে আমাদের দেশের বন গুলোতে পৃথিবীর সুন্দরতম এই পাখিটি হারিয়ে গিয়েছে? ছেলেবেলা থেকে গল্প-কবিতায় শুনে আসা ডাহুক, পানকেীরি, জলপিপি, হট্টিটি, লেজঝোলা, বউ-কথা-কও কিম্বা হাড়িচাচা নাম গুলো আমরা মুখে মুখে সবাই জানলেও এগুলো নিজ চোখে দেখবার অথবা শুধুমাত্র চিনবার সৌভাগ্য অনেকেরই এখনো হয়নি। হারিয়ে যাবার আগে এদের দেখবার-চিনবার নিই না কেন আজি? বেশিদূর মোটেও যেতে হবেনা – রমনা, জাহাঙ্গিরনগর বা বোটানিকাল গার্ডেনে ২৫ থেকে দেড় শতাধিকপ্রজাতির পাখি পাওয়া সম্ভব। রূপকথার রংরাং কিম্বা ছড়ার বইয়ের লেজঝোলাকে কোন অরণ্যে খুজেঁ পেলে আপনি প্রেমে পড়তে বাধ্য! এই আমি বলছি! আপনার ভালোবাসায়ই তো বাঁচবে পাখি! প্রয়োজন শুধু ইচ্ছে আর নীলক্ষেত-নিউমার্কেটের একটি ফিল্ড গাইড (পাখি চিনবার বই, শুরু করতে পারেন গ্রিমেট-ইন্সকিপ এর বার্ডস অব দি ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট দিয়ে) যেকোন সাহায্যের জন্য আমরা তো আছিই!
অপেক্ষায় রইলাম স্থাপত্যের পাশাপাশি কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান কিম্বা রেমা-কালেঙ্গার জন্য!
লেখকঃ রেজা নূর মইন, প্রকৃতিপ্রেমী,, সৌখিন ফটোগ্রাফার
ছবি কৃতিত্বঃ লেখক স্বয়ং
Love birds, love the mother nature!