
লাল বনমোরগ
লাল বনমোরগের ইংরেজি নাম Red Junglefowl। লাতিন নাম Gallus gallus ।এরা ফ্যাসিয়ানিডি (phasianidae) গোত্রের অন্তর্গত সর্বাধিক পরিচিত একটি প্রজাতি। ধরে নেয়া হয় পৃথিবীর সব মোরগ-মুরগি আবির্ভূত হয়েছে এই বনমোরগের প্রজাতির কিছু কিছু নমুনার গৃহপালনের মাধ্যমে। গত কয়েক দশক ধরে লাল বনমোরগের সংখ্যা কমে গেলেও এখনো তা আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছায়নি। সে কারণে আই.ইউ.সি.এন বনমোরগকে আশঙ্কাহীন প্রজাতি হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। লাল বনমোরগ খুব সুন্দর ঝালরাবৃত লালচে, সোনালি, কালো পালক জড়িত পিঠ ও ডানাসমৃদ্ধ একটি পাখি। কপাল থেকে পালকহীন মাংসল মণি রয়েছে। ঠোঁটের নিচে ও কানের সামনে রয়েছে দুটি লাল লতিকা। পালকহীন চোখের চারদিকের চামড়া লালচে, নিচের দিকে কালচে। লম্বা লেজের পালক নিচের দিকে বাঁকানো। বনমুরগি তুলনায় ছোট ও লেজে বাহারি পালক নেই। দেহের পালক সোনালি আভাযুক্ত বাদামি, তার সঙ্গে সামান্য গাঢ় দাগ। বাংলাদেশে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের চিরসবুজ বন, চা-বাগান, শেরপুর ও মধুপুর শালবন এবং সুন্দরবনে বনমোরগ বাস করে। এক সময় প্রায় সব ধরনের বন-জঙ্গলে এদের দেখা গেলেও অতিমাত্রায় শিকারের কারণে এদের উপস্থিতি এখন অনেক কমে গেছে। এখনো পার্বত্য চট্টগ্রামের কোনো কোনো হাটবাজারে বনমোরগ বিক্রি হয়। তবে সিলেটের চা-বাগান ও সুন্দরবনে এরা মোটামুটি ভালো অবস্থায় আছে।
জুনায়েদ তানভীর