সতর্ক থাকলে বজ্রপাতে মৃত্যু এড়ানো সম্ভব
সতর্ক থাকলে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা এড়ানো যায়। বৃষ্টিসহ বজ্রপাতের সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ বৃষ্টির মাধ্যমেই বজ্র নিচে নেমে আসে। অনেকে বজ্রপাতের সময় গাছের নিচে আশ্রয় নেন। সেটা আরও বিপজ্জনক। বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ পরিবাহী হয়ে গাছও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। ঘনবসতির কারণে বাংলাদেশে বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা বেশি। তবে কিছু সচেতনতা অবলম্বন করলে এ মৃত্যু হার অনেক কমিয়ে আনা যায়। বজ্রপাতে এত বেশি ভোল্টেজ থাকে যে, আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তি মুহূর্তেই মারা যান। বজ্রের উচ্চ ভোল্টেজের কারণে দাহ্য পদার্থের ওপর পড়লে তাতে আগুন ধরে যেতে পারে। টিনের চালে পড়লে সেটা তাৎক্ষণিক মাটিতে পরিবাহিত হয়। এ জন্য বজ্রপাতের সময় নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে হবে। তবে এ সময় যদি বৃষ্টি না থাকে তাহলে ভয়ের কিছু নেই। বৃষ্টির মাধ্যমেই এটা নিচে নেমে আসে। তিনি বলেন, বজ্রপাতের সময় মোবাইল ফোনের কারণে একাধিক ব্যক্তির শরীরের মধ্য দিয়ে কারেন্ট পাস হয়ে মৃত্যু ঘটতে পারে। এ জন্য জনবহুল স্থানে বজ্র পড়লে একসঙ্গে অনেক মানুষের মৃত্যু হতে পারে। আকাশে মেঘে মেঘে ঘর্ষণের সময় বিদ্যুৎ উৎপন্ন হলেও বৃষ্টি না হলে বজ্র নিচে নামার কোনো সুযোগ নেই। বৃষ্টির মাধ্যমেই বজ্র নিচে নেমে আসে। এ জন্য বৃষ্টিসহ বজ্রপাতের সময় বাইরে থাকলে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে হবে। কখনো কখনো আকাশে বজ্রের শব্দ হয়, বিদ্যুৎ চমকায়। কিন্তু সে সময় বৃষ্টি না থাকলে ভয়ের কিছু নেই। কেবল বৃষ্টি হলেই নিরাপদ স্থানে, ঘরের ভেতর চলে যেতে হবে। তিনি বলেন, অনেকে গাছের নিচে আশ্রয় নেন। সেটা অত্যন্ত বিপজ্জনক। কারণ বৃষ্টিতে গাছও বিদ্যুৎ পরিবাহী হয়ে বিপদের কারণ হয়ে ওঠে।
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন ২১/০৬/২০১৩
– See more at: http://www.bd-pratidin.com/2013/06/21/1943#sthash.Q7dhzyFN.dpuf