
সরকারিভাবে না করলে এলাকাবাসীকে নিয়ে পুষ্পসাহা পুকুর দখল-ভরাটমুক্ত করবে পবা
মহানগরী ঢাকার অভ্যন্তরীণ পুকুর, জলাধারসমূহ শহরের পরিবেশগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং বৃষ্টির পানির প্রাকৃতিক আধার। লালবাগ থানার অন্তর্গত আমলীগোলা জগন্নাথ সাহা রোড়ের পুষ্পসাহা পুকুরটি এমনি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহ্যবাহী পুকুর। শহীদনগর, চৌধুরীবাজার, ঋষিপাড়া, বৌদ্ধপাড়া, ডুরি আঙ্গুল, নবাবগঞ্জ ও বালুঘাট এলাকার বৃষ্টির পানি ধারণের একমাত্র আধার এবং মানুষের গৃহস্থালি কাজের পানি এবং পুরান ঢাকার মতো ঘনবসিতপূর্ণ এলাকার পরিবেশের প্রয়োজনে ভূমিকা রেখে চলেছিল। কিন্তু সরকারি নজরদারির অভাবে ভরাট এবং দখলের প্রক্রিয়ায় জনগুরুত্বপূর্ণ এই পুকুরটি তার অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলতে চলেছে। অবিলম্বে সরকারিভাবে পুষ্প সাহা পুকুর দখল ও ভরাটমুক্ত না করলে এলাকাবাসীকে নিয়ে পবা পুষ্পসাহা পুকুর দখল-ভরাটমুক্ত করবে। আজ ০৯ মে ২০১৪, শুক্রবার সকাল ১১টায় পুষ্প সাহা পুকুর পাড়ে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), গ্রীণমাইন্ড সোসাইটি ও পুষ্পসাহা পুকুর রক্ষা কমিটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশ থেকে উক্ত ঘোষণা দেয়া হয়।
পবার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো: আবদুস সোবহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসলাম খান, হাফিজুর রহমান ময়না, গ্রীণমাইন্ড সোসাইটির সভাপতি আমির হাসান, বাংলাদেশ পীস মুভমেন্টের সভাপতি অধ্যাপক কামাল আতাউর রহমান, পুষ্প সাহা পুকুর রক্ষা কমিটির আহবায়ক মো: সায়েমুল ইসলাম, পুকুর ব্যবহারকারী এলাকাবাসী হাজী আওয়াল প্রমুখ।
সমাবেশ থেকে জানানো হয়-পুষ্প সাহা পুকুরটি এলাকার একমাত্র পুকুর হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে অত্র এলাকার ভয়াবহ জলাবদ্ধতা লাঘবে পানির ধারক হিসেবে ব্যবহৃত হতো। তাছাড়া কাপড়-চোপড় ধোয়া, গৃহস্থালি প্রয়োজনসহ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দেব-দেবী বিসর্জন, ভূগর্ভস্থ পানির পুনঃভরণ, শহরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, অগ্নিকান্ডের মতো দূর্যোগের সময় এ পুকুরটির পানিই ছিল মূল ভরসা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও যখন জলাধার সংরক্ষণে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে তখন মহানগরী ঢাকার মধ্যে অবস্থিত পুষ্প সাহা পুকুরটি কেবল সরকারি উদ্যোগের অভাব এবং অবহেলায় ভরাট ও দখলের প্রক্রিয়ায় নি:শেষ হয়ে যাবে এটা মেনে নেয়া যায় না। সরকারি উদ্যোগে পুষ্পসাহা পুকুর থেকে সকল বর্জ্য অপসারণ এবং অবৈধ দখলমুক্ত করে অবিলম্বে জনসাধারণের ব্যবহার উপযোগী না করলে পবা এলাকাবাসীকে নিয়ে পুষ্প সাহা পুকুর দখল ও ভরাট মুক্ত করবে।