সেই সব কচ্ছপের গল্প । ছবি : আফরোজা আশা
সুন্দরবনের দুবলার চরে এভাবেই মরে থাকতে দেখা যাচ্ছে মা কচ্ছপদের । এসব কচ্ছপ ডিম পাড়ার জন্য উপকূলের কাছাকাছি এসে মারা যায়। কখনও সাগরে জেলেদের জালে আটকা পড়ে বা সৈকতে কুকুর শিয়ালের কবলে পড়ে এসব কচ্ছপ মারা যাচ্ছে । তাছাড়া মানুষের বেশী আনাগোনা, লাইটিং ইত্যাদী কারণে যথা সময়ে ডিম পাড়তে বিঘ্ন সৃষ্টি হলেও মারা যেতে পারে। উপরন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিও রয়েছে।
প্রতিবছর শীত মৌসুমে (ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত) মা কচ্ছপ গভীর সমুদ্র থেকে ডিম পাড়তে উপকূলের বালুচরে আসে। কিন্তু উপকূলে পুঁতে রাখা জেলেদের জালে আটকা পড়ে মা কচ্ছপ মারা যাচ্ছে। কিছু কচ্ছপ সাঁতরে কূলে উঠলেও ডিম ছাড়তে পারছে না। ক্লান্ত কচ্ছপগুলো উপকূলে এসেই কুকুরের আক্রমণের শিকার হচ্ছে।
মূলত ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে এদের অবস্থান। তবে এদের প্রধান বাসস্থান হল বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপ, সুন্দরবন এবং অন্যান্য বঙ্গপসাগরে অবস্থিত দ্বীপসমূহে।
উল্লেখ্য সারা বিশ্বে যেখানে মাত্র ৩১৩ প্রজাতির কচ্ছপ রয়েছে তারমধ্যে শুধু আমাদের দেশেই আছে ২৮ প্রজাতির কচ্ছপ।জীববৈচিত্র্যের দিক থেকে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ অর্থ বহন করে।সচেতনতার অভাবে আমরা ইতিমধ্যেই অনেকগুলো প্রজাতির বন্যপ্রাণী প্রকৃতি থেকে হারিয়ে ফেলেছি। এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে সব প্রজাতির বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তাই বন্যপ্রাণী রক্ষার জন্য গণসচেতনতা ও আইনের সঠিক প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরী।