বাংলাদেশে নতুন সাত প্রজাপতি আবিষ্কার করলেন তরুণ গবেষক দল!
এনভায়রনমেন্টমুভ ডেস্ক
খোলা মাঠে, বাগানে কিংবা অনেক সময় রাস্তায় হাঁটার সময়েও আমাদের পাশে নানান রঙের, নানান বর্ণের, নানান প্রজাতির প্রজাপতির দেখা মেলে। কিন্তু আমাদের অনেকেরই হয়তো ধারণা নেই যে, আমাদের এই ছোট্ট দেশে কত প্রজাতির প্রজাপতি থাকতে পারে! অনেকেই হয়তো এখন মনে করছেন, এই রঙিন পতঙ্গ কত প্রজাতিরই বা আর হবে, খুব বেশি হলে ৪০, ৫০ কিংবা ১০০! শুনতে আশ্চর্য হলেও সত্য যে, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৩২৬ প্রজাতির প্রজাপতির সন্ধান পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি ‘বাটারফ্লাই বাংলাদেশ’ নামক এক প্রজাপতি প্রেমিকের দল কাপ্তাই, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম ভ্রমণে এমন ৭ টি নতুন প্রজাতির প্রজাপতির সন্ধান পেয়েছেন! এই ভ্রমণে প্রজাপতি-গবেষক দলের প্রতিনিধিত্ব করেন দেশের নামকরা তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। তাঁরা দাবী করছেন, এগুলো এদেশে আগে কখনো দেখা যায়নি। এই তিন তরুণ গবেষকের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মূলত কাপ্তাই ও চট্টগ্রামে কাজ করার সময়ে তাঁরা এই প্রজাপতির সন্ধান পান। এই তিন গবেষক হচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাওন চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাব্বির হুসাইন খান এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইব্রাহিম আল হায়দার। তাঁরা প্রত্যেকেই স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ছাত্র।
এই নতুন আবিস্কৃত প্রজাপতিগুলো হচ্ছে, Absent Ace, White Palm Bob, White Four Ring, Halpe wantana, Autumn Leaf, Karwar Swift এবং Yellow Spotted Swift. প্রজাপতিগুলো সনাক্তকরণে সহায়তা করেছেন ‘বাটারফ্লাই বাংলাদেশ’-এর বিভিন্ন গবেষক, ভারতের পিটার স্মিয়াটেক, সিংগাপুরের টি. এল. সিউ এবং সানি চির। গবেষকদের মতে, এসব প্রজাপতিগুলো খুব সহজেই একই রকম দেখতে অন্য প্রজাপতির সাথে মিশে থাকতে পারে।
যদিও দেশের নানান প্রান্ত থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. শফিক হায়দার চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল বাশার এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মনোয়ার হোসেন তুহিন এর মতো অভিজ্ঞ লোক নিবেদিত প্রাণ হিসেবে প্রজাপতির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তার পরেও এরকম প্রতিভাবান তরুণদের নতুন প্রজাতির প্রজাপতির সন্ধান পাওয়া নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
নতুন আবিস্কৃত প্রজাপতিগুলোর নামসহ ছবি নিচে দেয়া হলো –