সীসাযুক্ত রং উৎপাদন ও আমদানি নিষিদ্ধের দাবী
পরিবেশ ও জনস্বার্থে সীসামুক্ত রং উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে সার্টিফিকেশন ও ইকো- লেবেলিং ব্যবস্থা প্রচলনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ পেইন্ট ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যাসোসিয়েশন । গত মঙ্গলবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৫ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন- এসডোর প্রধান কার্যালয়ে “সার্টিফিকেশন ও ইকো- লেবেলিং” এর গুরুত্ব নিয়ে এই মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
সভায় জনস্বার্থে, বিশেষ করে শিশু স্বাস্থ্যের সুরক্ষা এবং পরিবেশ দূষণ রোধে সীসাযুক্ত রং উৎপাদন ও আমদানি নিষিদ্ধের দাবী জানানো হয় । এছাড়াও মাঝারী ও ক্ষুদ্র রং প্রস্তুতকারকদের সীসামুক্ত রং উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে কারিগরি সহযোগিতার পাশাপাশি তৃতীয়পক্ষ সার্টিফিকেশন ও ইকো- লেবেলিং ব্যবস্থা প্রবর্তনের উপরও গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব ও এসডো চেয়ারপারসন, জনাব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ এর সভাপতিত্ত্বে এই মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগত, আইপেন প্রতিনিধি জনাব পেরি গটেসফেল্ড, বাংলাদেশ পেইন্ট ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যাসোসিয়েশন এর সাধারন সম্পাদক জনাব এম. ডি. শামসুজ্জামান,সাবেক সভাপতি জনাব বি বি রয় সাহা, এসডো মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেন, এসডো নির্বাহী পরিচালক, সিদ্দীকা সুলতানা সহ বিভিন্ন রংপ্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ।
জনাব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ রং এ সীসার ব্যবহার কমিয়ে ফেলার ক্ষেত্রে রং প্রস্তুতকারকদের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন এবং আগামীদিনগুলোতে সীসামুক্ত রং উৎপাদনে আহ্বান জানিয়ছেন । তিনি বলেন, “তৃতীয়পক্ষ সার্টিফিকেশন ও ইকো- লেবেলিং ব্যবস্থা প্রচলনের মাধ্যমে রং প্রস্তুতকারকরা যেন তাদের পন্যের মান উপস্থাপন করতে পারেন এবং সামাজিক দায়িত্বপালনে যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারেন” । বাংলাদেশ পেইন্ট ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যাসোসিয়েশন এর সাধারন সম্পাদক জনাব এম. ডি. শামসুজ্জামান এসডো ও আইপেন এর যৌথ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “আমারা এসডোর কার্যক্রমকে প্রতিপূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি এবং সে সাথে সীসার উৎস বন্ধের জন্য সীসাযুক্ত পিগমেন্ট, ড্রায়ার আমদানি নিষদ্ধের পাশাপাশি সীসামুক্ত কাঁচামাল আমাদানির উপর শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি”। তিনি আরও বলেন, “এর ফলে মাঝারী ও ক্ষুদ্র রং প্রস্তুতকারকরা সহজেই সীসামুক্ত রং উৎপাদনে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারবেন” ।
সীসা একটি বিষাক্ত ধাতু যা রং এর উজ্জ্বলতা ও স্থায়িত্ব বাড়ায়, এবং এই বৈশিষ্টের জন্যই পেইন্ট উৎপাদনে এটি ব্যাপকহারে ব্যবহার হচ্ছে । বাংলাদেশে প্রায় ১০০ টি নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং বড় কোম্পানি আছে যা পেইন্ট উৎপাদনের সাথে জড়িত । সীসাযুক্ত রং উৎপাদন এবং বিক্রি নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-এসডো, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে- আইপেন এর সহযোগিতযোগিতায় এশিয়ার ৭ টি দেশের সঙ্গে “আইপেন/ সুইচ এশিয়া লেড পেইন্ট এলিমেনেশন” নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ।এই প্রকল্পেরই একটি কার্যকরী অংশ হিসাবে এসডোর তৃতীয়পক্ষ সার্টিফিকেশন ও ইকো- লেবেলিং ব্যাবস্থা প্রচলনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং বিভিন্ন রং নির্মাতাদের সীসামুক্ত রং উৎপাদনে উৎসাহিত করে যাচ্ছে ।