প্রজাপতির রঙ ছড়িয়ে শেষ হল বাটারফ্লাই বাংলাদেশ’র আলোকচিত্র প্রদর্শনী
শেষ হল পাঁচ দিনব্যাপী বাটারফ্লাই বাংলাদেশ আলোকচিত্র প্রদর্শনী। গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়া এই বর্ণিল প্রদর্শনী চলে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরে। মঙ্গলবার শেষ দিনে ছিল দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়।এবার প্রদর্শনীতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পরিবেশ সচেতন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়,স্কুল,কলেজের কয়েকশত শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে।প্রকৃতিতে প্রজাপতির প্রয়োজনীয়তা এবং এ সম্পর্কেও জনসচেতনতা তৈরি করাই ছিল এই প্রদর্শনীর মুল উদ্দেশ্য।
ঢাকাবাসী অনেকদিন এমন আসাধারন কিছু প্রত্যক্ষ করেনি! অনাড়ম্বর , কিন্তু আকর্ষণীয় গ্যালারি প্রদর্শনী, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকমানের আলোকচিত্রীদের পরিচালনায় আলোচনা এবং প্রদর্শনী। যতই দিন যাচ্ছে বিশ্বের মানচিত্রে , আলোকচিত্রের বাজারে সুনাম অর্জন করছে বাংলাদেশ।।ইংরেজ শাসন আমল থেকেই আলোকচিত্রীদের বৈশ্বিক খাতায় নাম উঠিয়েছে এদেশের মানুষ। তবে এক দশকে অনেক লম্বা পথ পাড়ি দিয়েছে এদেশের আলোকচিত্রীরা। এক্ষেত্রে পেশাদার আলোকচিত্রীদের পাশাপাশি কৃতিত্ব অর্জন করেছেন শৌখিন আলোকচিত্রীরাও।তাদের আলোকচিত্রে ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের প্রজাপতির অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যত্ সম্ভাবনা।
পাঁচ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে স্থান পায় ১০৬জন আলোকচিত্রীর ১৩৪টি আলোকচিত্র। ১০৬ জন অংশগ্রহনকারীর মধ্যে দেশের বাইরে থেকেও ছবি পাঠিয়েছেন কয়েকজন। । এসব আলোকচিত্রের মধ্যে স্থান পায় ৮৬ প্রজাতির প্রজাপতি। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সংগৃহীত হয় এ প্রজাপতির প্রজাতিসমূহ। জেলাগুলি হলো ঢাকা, রাজশাহী , বগুড়া, , নেত্রকোনা, বান্দরবান,ব্রাহ্মণবাড়িয়া,খাগড়াছড়ি ও সিলেটের কিছু অংশ।
প্রদর্শনীতে ব্যবহৃত প্রজাপতিগুলির সনাক্তকরণে কাজ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ছাত্র অমিত কুমার নিয়োগী , অনিক চন্দ্র মণ্ডল , নাসিফ সাদাত , শামসুর রহমান সেলিম , তানভির সৈকত এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ছাত্র শাওন চৌধুরী।
সমাপনি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জালাল আহমেদ। এছাড়াও আয়োজকদের মধ্যে রয়েছেন ছিলেন সাবু আনোয়ার, ওহিদুজ্জামান সোহেল এবং হাসান মাসুদ।
সমাপনী অনুষ্ঠানে আয়োজক কমেটির সদস্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ছাত্র অমিত কুমার নিয়োগী বলেন , “ মূলত এই আয়োজনটি জনসচেতনতা তৈরি এবং তাদের কাছ থেকে মতামত পাবার লক্ষ্যে আয়োজন করা হয়েছে। এতে ছবির পাশাপাশি প্রতিটি প্রজাতির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও দর্শকদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমরা ”।