কামরাঙ্গীরচরে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান
এনভায়রনমেন্টমুভ ডেস্ক
প্রতিনিয়ত আমাদের দায়িত্বহীন আচরণের জন্য বাড়ি, প্রতিষ্ঠান কিংবা দোকানের সামনে ও রাস্তায় বিভিন্ন ধরনের অব্যবহৃত জিনিস ও ময়লা-আর্বজনা ফেলায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এগুলো রোগ বিস্তারের পাশাপাশি এলাকার সৌন্দর্য্যহানিও ঘটাচ্ছে। নির্মল পরিবেশ বজায় রাখতে এবং সুস্থ্যভাবে বাচঁতে চারপাশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার বিকল্প নেই। গত ৩রা জানুয়ারি ২০১৫, শনিবার, সকাল ১১টায় পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীন মাইন্ড সোসাইটি, ফ্রেন্ডস ফোরাম বুড়ীগঙ্গা ও ইজি মেথড ইন্টাঃ স্কুল এর উদ্যোগে আয়োজিত কামরাঙ্গীরচরের রহমত আলী রোড ও এর চারপাশ পরিস্কার পরিচ্ছন করা কর্মসূচিতে বক্তারা এ কথা বলেন।
গ্রীন মাইন্ড সোসাইটির সভাপতি আমির হাসান মাসুদ এর সভাপতিত্বে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন শিক্ষাবিদ ও সমাজ সেবক মো: আনিসুর রহমান। এছাড়া বক্তব্য রাখেন, গ্রীন মাইন্ড সোসাইটির সাধারন সম্পাদক ফারুক হোসেন, ফ্রেন্ডস ফোরাম বুড়ীগঙ্গার সদস্য ফরহাদ হোসেন, ইজি মেথড ইন্টাঃ স্কুল এর শিক্ষক মাহবুব আলম, পশ্চিম রসুলপুর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির নির্বাহী সদস্য আবুল কালাম প্রমুখ।
আয়োজকরা বলেন, কামরাঙ্গীরচর এলাকায় আমরা সবাই বসবাস করি, এটা আমাদের প্রিয় এলাকা, আমাদের সন্তানদের সুস্থ্যতার জন্য কামরাঙ্গিরচরের পরিবেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা সকলের দায়িত্ব। এজন্য প্রয়োজন ব্যাপক জনসচেতনতা। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে কি-না নিয়মিত তদারকি করা। কর্মসূচি থেকে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয় খাদ্যদ্রব্য ও ব্যবহৃত পন্যসামগ্রীর প্যাকেট এবং প্লাস্টিকের বোতল যত্রতত্র না ফেলা, থুথু, পানের পিকসহ ময়লা-আবর্জনা যেখানে-সেখানে না ফেলে ময়লার পাত্র ব্যবহার, বাড়ি, প্রতিষ্ঠান ও দোকানের সামনে নিজ দায়িত্বে পরিস্কার রাখা, জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পেতে ড্রেন ও সুয়ারেজ লাইনে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকা, ময়লার পাত্র না থাকলে নিরাপদ স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা, এই কাজগুলো চাইলেই করা সম্ভব। প্রত্যেককে নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে সচেতন হওয়ার কথাই জানিয়ে দেয়া হয় কর্মসূচির মাধ্যমে।
সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নিয়মিত ময়লা আবর্জনা অপসারণ ও ঝাড়– দেওয়া, ধূলাবালি থেকে পরিত্রানের জন্য নিয়মিত রাস্তায় পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করা, যত্রযত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন স্থাপন করা, ১০০ মিটার পর পর দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে ময়লার পাত্র স্থাপন, যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধে সচেতনতার জন্য সাইনবোর্ড স্থাপন করা, নদী, খাল. পুকুর ও লেকে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকা, পার্ক ও জলাশয়ে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধে পর্যাপ্ত ডাস্টবিনের ব্যবস্থা, পুলিশের মাধ্যমে জরিমানা আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয় এই অভিযানের মাধ্যমে।