
কাজে লাগান আপনার কোরবানির গরুর গোবর !!!
মনিজা মনজুর
গরুর গোবর উৎকৃষ্ট মানের সার এবং বায়োগ্যাস তৈরীর প্রধান কাঁচামাল তা আমাদের সকলেরই জানা। পবিত্র ঈদ-উল-আযহার মৌসুমই গোবরকে কাজে লাগানোর সবচেয়ে সুবিধাজনক সময়।
কোরবানীর গরুর গোবর দিয়ে তৈরী করতে পারেন উৎকৃষ্ট মানের জৈব সার। যা সারাবছর আপনার চাষবাষের কাজে লাগবে। আমরা যারা শহরে বাড়ির ছাদে বাগান করি, তারা ইচ্ছে করলেই এই গোবর সংরক্ষণ করে রাখতে পারি।গোবরের পরিমাণ বুঝে বাড়ির দেয়ালের ধার ঘেঁষে একটু গর্ত করে গোবর রেখে ইট চাপা দিয়ে রাখতে পারেন। যাদের খোলা জায়গা আছে তারা সুবিধাজনক স্থানে গর্ত করে মাটি চাপা দিয়ে রাখুন যাতে রোদ ও বৃষ্টির পানিতে নষ্ট না হয়ে যায়। এক্ষেত্রে খড়, খেজুর পাতা কিংবা তালপাতা ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া গোবরের সাথে টিএসপি ব্যবহার করলে সারের মান ভালো হয়। এভাবে সংরক্ষণের দুই মাসের মধ্যেই আপনি সারা বছরের জন্য ব্যবহার উপযোগী জৈব সার পেতে পারেন।
জৈব সার ব্যবহারে মাটির উৎপাদন শক্তি যেমন ঠিক থাকবে ঠিক থাকবে তেমনি রাসায়নিক সারের ওপর নির্ভরশীলতাও কিছুটা হ্রাস পাবে। পরিবেশও রক্ষা পাবে, দূষণ কমবে।
তাছাড়া গোবর দিয়ে বায়োগ্যাস তৈরি করে বিদ্যুৎ ঘাটতি কমানোসহ বাস-ট্রাক এমনকি ট্রেনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। কম খরচে একটি পরিবারের রান্না থেকে শুরু করে বাতি জ্বালানো, পাখা ঘোরানোর মতো অনেক কাজও করা যায়৷ এতে দুর্গন্ধ ছড়ায় না এবং গ্যাস তৈরির পর যে অবশিষ্ট অংশ থাকে সেটা উন্নতমানের জৈব সার হিসেবে জমিতে ব্যবহার করা যায়৷ এছাড়া যারা পুকুরে মাছ চাষ করেন তারা মাছের খাবার হিসেবেও ঐ অবশিষ্টাংশ ব্যবহার করতে পারেন৷
আপনার প্রিয় পশুটি কোরবানী হয়ে যাবার পরেও আপনার উপকার করে যাচ্ছে। প্রকৃতি আমাদের সুবিধার জন্য সকল উপকরণ সাজিয়ে রেখেছে তার নিজস্ব নিয়মে। এখন শুধু আমাদের তাকে সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহারের অপেক্ষা।