সিভাসুতে মহামারী সংক্রান্ত বিদ্যার তথ্য বিশ্লেষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
মোঃ সাইফুল ইসলাম
সিভাসু থেকে: চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ও লন্ডনের রয়েল ভেটেরিনারি কলেজের (আর ভি সি) যৌথ উদ্যোগে গত ৬ ও ৭ ই ডিসেম্বর সিভাসু ল্যাংগুয়েজ ক্লাবে অনুষ্ঠিত হলো এপিডোমিওলজি (মহামারি-সংক্রান্ত বিদ্যা) গবেষণায় তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের উপর দুই দিনের এক কারিগরি কর্মশালা।
এপিডেমিওলজি বা মহামারি-সংক্রান্ত বিদ্যা বিজ্ঞানের এমন একটি শাখা যার মাধ্যমে মাঠ পর্যায় থেকে সংগৃহীত তথ্য বিভিন্ন পদ্ধতিতে বিশ্লেষণ করে একটি সম্ভাব্য ফলাফল নির্ণয় করা হয়। এর মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের সঠিক কারণ নির্ধারণের পাশাপাশি বিভিন্ন মহামারী প্রতিরোধ করণে অপরিহার্য ভুমিকা পালন করা সম্ভব হয়। বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো এপিডোমিওলজির সঠিক গবেষণা ও প্রয়োগ না থাকায় মহামারী নিয়ন্ত্রণে পিছিয়ে রয়েছে।
দেশে এপিডেমিওলজি গবেষণায় দক্ষতা বাড়াতে ওয়ান হেলথ এর যেলস প্রকল্পের আওতায় সিভাসুতে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয় । দেশের সরকারি (বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বন বিভাগ) ও স্বায়ত্বশাসিত (ওয়ান হেলথ ও আই ই ডি সি আর ) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এপিডেমিওলজি গবেষণায় কর্মরত বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা ও সিভাসুর এপিডেমিওলজি বিভাগে অধ্যয়ণরত স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করে।
উদ্বোধনী সেশনে সভাপতির বক্তব্যে যেলস প্রকল্পের জাতীয় সমন্বয়ক ও সিভাসু এপিডোমিওলজির প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আহসানুল হক দেশে রোগ প্রতিরোধে এপিডোমিওলজির গুরুত্ব তুলে ধরে এই প্রকল্প ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। উক্ত সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফুড সায়েন্স অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস।
এতে প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যেলস প্রকল্পের কো-ইনভেস্টিগেটর ও রয়েল ভেটেরিনারি কলেজের পোষ্ট ডক্টরেট ফেলো ড. গিয়োম ফর্নি ও রয়েল ভেটেরিনারি কলেজের পিএইচডি ফেলো ড. নাটালী মাইয়ান।
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহনকারী সবাইকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এই পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিপিবি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. এ কে এম সাইফুদ্দিন।
ছবি: কাজী ফকরুল ইসলাম (সিভাসু)।