৬০ হাজার অ্যান্টিলোপের মৃত্যু!
মোঃ সাইফুল ইসলাম
কাজাখিস্তানের সবুজ ঘাসে ঢাকা বিস্তীর্ণ সমভূমিতে চারদিনে ৬০ হাজার অ্যান্টিলোপের মৃত্যু হয়েছে। হরিণসদৃশ এই প্রাণিটি ২০১৪ সালের হিসেবে কাজাখিস্তানে ছিল ২ লাখ ৫৭ হাজার। এখনও এই মৃতের কারণ সঠিক জানা যায়নি। একইভাবে মে জুন মাসেও অনেক অ্যান্টিলোপের মৃত্যু হয়েছিল। ফলে দেশটিতে বর্তমানে ১ লাখ ২৫ হাজারের নিচে অ্যান্টিলোপ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আলটিন ডালা কনজারভেটিভ এর গবেষক জিওইকোলজিস্ট স্টিফেন জুথার কাজাখিস্তানে গিয়েছিলেন অ্যান্টিলোপের বাচ্চা প্রসবের উপর নজর রাখতে। কিন্তু তিনি ও তাঁর সহযোগিরা সেখানে হাজার হাজার প্রাণিকে মৃতাবস্থায় দেখতে পান।
ব্যাকটেরিয়ার কারণে সাইগা প্রজাতির অ্যান্টিলোপগুলো দ্রুত মারা যেতে পারে বলে ধারণা করছেন জুথার। যদিও সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি! আশার সংবাদ হল সাইগা প্রজাতি ছাড়া অন্য কোন প্রজাতি এভাবে মারা যায়নি।
বর্তমানে পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান যেমন শিলা, মাটি, পানি, ঘাস, তাদের শরীরে থাকা আঁঠুলি ও অন্যান্য পতঙ্গ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
মৃত প্রাণির নেকরোপসি বা ময়না তদন্ত করে জানা যায় স্ত্রী সাইগা প্রজাতি দ্রুত মারা যাচ্ছে। মা মারা যাবার পর শীঘ্রই শাবকগুলোও মারা যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে মাতৃদুগ্ধের মাধ্যমে অজানা কারণটি শাবকের দেহে প্রবেশ করে।
যাইহোক টিস্যুর নমুনা পরীক্ষা করে পাস্তুরেলা ও ক্লোসটিরিডিয়ার টক্সিনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এই টক্সিন সাইগার অভ্যন্তরীণ রক্তপাত ঘটায়। তবে এই ব্যাকটেরিয়াগুলো এত ভয়ংকর নয়। পাস্তুরেলা নামক ব্যাকটেরিয়াগুলো সাধারণত প্রাণির রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমলে রোগ সৃষ্টি করতে পারে। জুথার এবং তার সহকর্মীরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। হয়ত খুব শীঘ্রই মৃতের কারণ উদঘাটিত হবে। অন্যথায় পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে!
সূত্র: লাইভ সাইন্স, টেক টাইমস