পিঁপড়ার খোঁজে বাংলাদেশে !!
তাওহীদ হোসাইন
দৃশ্য- ১
ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ধরে শাঁ শাঁ শব্দে ছুটে চলেছে দূরপাল্লার বাস, ট্রাক, প্রাইভেট গাড়ি। হঠাৎ চোখে পড়লো মহাসড়কের পাশে একটা পাজেরো দাঁড়িয়ে আর কিছু দূরে মানুষের জটলা। ভিড় ঠেলে এগিয়ে যেতেই চোখে পড়লো সাদা চামড়ার দুই ভিনদেশী যুবক আপন মনে পথের ধারে পড়ে থাকা ইটের স্তূপ, কাঠের গুড়ি কিংবা আপাত অর্থে আবর্জনা উল্টেপাল্টে দেখছেন। চোখে তাঁদের রাজ্যের উৎসাহ, আচরণে বিপুল উদ্যম। আর আশে-পাশে জটলা করে থাকা বাংলাদেশী সহজ সরল মানুষ গুলোর প্রশ্নাতুর দৃষ্টি নিবদ্ধ দুই বিদেশীর উপর।
দৃশ্য- ২
দক্ষিণাঞ্চলের বিভাগ খুলনার ঐতিহ্যবাহী দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ভবন, ছাত্রাবাস, প্রশাসনিক ভবন কিংবা ক্যাম্পাসের যেসব তুলনামূলক নোংরা আর নির্জন জায়গায় মানুষের যাতায়াত কম, সেখানে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে দুই বিদেশী তরুণকে। ইটের স্তুপ, গাছের গুড়ি অথবা সিমেন্টের স্লাব কোনটাই বাদ যাচ্ছে না। সবগুলো উল্টেপাল্টে কি যেন খুঁজছেন তাঁরা, আবার ঠিক জায়গায় বসিয়ে রাখছেন।হাতে কি একটা যেন যন্ত্র,দুইটি তাঁর নল, তাঁর একদিক নিজের মুখের ভেতর পুরে আর একটা নলের মাথার দিকটা মাটিতে ঠেসে ধরে কী যেন খুঁজছেন তাঁরা। এখানেও যথারীতি স্থানীয় মানুষের বিপুল আগ্রহ, জিজ্ঞাসা আর মন্তব্য!
চলুন, এবার এই ছবিগুলোকে একটু ভাষা দেয়া যাক;
কেউ প্রশ্ন করছেন ভাই এরা কারা? কী চায় এরা? কোন দেশী এরা? কী খোঁজে এরা?
আবার কেউ বলছেন ঐ তো এরা আমাদের মাটি নিয়ে গেলো! কেউ বলছেন, মনে হয় গ্যাস পাইছে!! কেউ বলে ওরা পিঁপড়া খাবে গো!!
মহাসড়ক –গ্রাম -শহর একটাই শব্দ। বিস্ময়, প্রশ্ন, সন্দেহ, খুশি, দ্বিধা কিংবা বিরক্তি সব কিছুর উত্তর মিলছে একটা শব্দেই। পিঁপড়া!! হ্যাঁ পিঁপড়াই। পিঁপড়ার খোঁজেই সাত সমুদ্র তেরো নদী পাড়ি দিয়ে আমাদের এই সবুজ সোনার দেশে হাজির দুই ভিনদেশী।
পাঠক বিস্তারিত বলছি; সতেরো দিনের সফরে সেই দুই ভিনদেশীর সফরসঙ্গী হয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চল, ঢাকা আর উত্তরপূর্বে শ্রীমঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো আর পিঁপড়া খুঁজে বেড়াবার অভিজ্ঞতা ও সফরের উদ্দেশ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
বাক ট্রিবল ও শন মেকেঞ্জি দুজন তরুণ গবেষক, যাদের ধ্যান- জ্ঞান, জীবনের স্বপ্ন ও ব্রত শুধুই পিঁপড়া। যুক্তরাষ্ট্রের এক সময়ের এক নম্বর ধনী জন ডি রকফেলার এর নামে গড়ে তোলা রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়; চিকিৎসা বিজ্ঞান, প্রান রসায়ন ও জিনবিদ্যা গবেষণার জন্য বিশ্বব্যাপী সমাদৃত নিউ ইয়র্কে অবস্থিত এই বিদ্যাপীঠ। এখানেই নিজেদের পিঁপড়া প্রীতির প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিচ্ছেন এই দুই তরুণ গবেষক। পিঁপড়ার খোঁজে ছুটেছি আমরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রখ্যাত অধ্যাপক ও পোকামাকড়ের সামাজিক বিবর্তন বিষয়ক গবেষণাগারের প্রধান ড্যানিয়াল ক্রুন্যার এর অধীনে পি.এইচ.ডি. গবেষক হিসেবে কাজ করছেন তরুণ বিজ্ঞানী শন মেকেঞ্জি ও বাক ট্রিবল। বাস্তুতন্ত্র ও প্রাণীবৈচিত্র্যের উপর স্নাতক করেছেন শন। ছোট বেলা থেকেই পিঁপড়ার প্রতি আকর্ষণ তাকে টেনে নিয়ে গেছে পিঁপড়া বিদ্যায়। স্নাতক পড়া কালীন সময়ে কোস্টারিকায় মধ্যআমেরিকার ঝাকবাহি খাদ্যগ্রাসি সেনা পিঁপড়ার (Neotrophical Swarm raiding army ants) খাদ্যাভ্যাস এর উপর এক গবেষণা তাঁকে সুযোগ করে দেয় রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ে পি.এইচ.ডি. করার। শনের গবেষণার বিষয় “পিঁপড়ার রাসায়নিক যোগাযোগে জিনের ভূমিকা”। এই গবেষণায় নমুনা প্রজাতি হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছেন “হানাদার সেনা পিঁপড়া” (Clonal Raider ants) বা Cerapachus biroi নামক এক পিঁপড়া।
অপরদিকে, পতঙ্গবিদ্যায় স্নাতক বাক ট্রিবল দেখিয়েছিলেন একটি নির্দিষ্ট জিনের কারণে কিভাবে পিঁপড়া বসতিতে একাধিক থেকে শতাধিক রাণী পিঁপড়ার আবির্ভাব ঘটে এবং সেই সূত্রেই তাঁর সুযোগ ঘটে রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ে পি.এইচ.ডি. করার। এই বিজ্ঞানী গবেষণা করেছেন কিভাবে পিঁপড়ার জিন প্রকৌশলের মাধ্যমে জিন স্থাপন ও অপসারণ দ্বারা পিঁপড়া থেকে আরও উপকারিতা পাওয়া যায়। গবেষণার নমুনা প্রজাতি হিসেবে তিনিও বেছে নিয়েছেন “হানাদার সেনা পিঁপড়া” বা Cerapachus biroi। পৃথিবীতে যত বিরল পিঁপড়া রয়েছে তাঁর মধ্যে এই Cerapachus biroi একটি।
রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দুই পি.এইচ.ডি. গবেষক কেন Cerapachus biroi বেছে নিলেন আর কী গবেষণাই বা করতে চলেছেন তাঁরা?
আগেই বলেছি পৃথিবীতে যত বিরল পিঁপড়া রয়েছে তার মধ্যে biroi একটি। এই গবেষণার শুরুতে শনদের পি.এইচ.ডি. গুরু ডঃ ড্যানিয়াল জাপানের ওকিনাওয়াতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে পাওয়া এই পিঁপড়ার বসতি নিয়ে পরীক্ষাগারে গবেষণা শুরু করেন এবং দেখতে পান এদের প্রতিটি পিঁপড়ার জিনগত গঠনে কোন পার্থক্য নেই অর্থাৎ এরা সকল পিঁপড়া দেখতে এক রকম এবং এদের প্রতিটি অংশও একই রকম ঠিক যেমনটি দেখা যায় ক্লোন করা কোন জীবে। তার মানে দাঁড়ালো এরা সকলেই ক্লোনাল বা অযৌন প্রজননের মাধ্যমে পৃথিবীতে আসে। চলছে তালাশ… যদি দেখা মেলে সেই সোনার পিঁপড়া cerapachus biroi !
গবেষক দল ধারণা করলেন যদি এরা ক্লোনাল রিপ্রোডাকশনের মাধ্যমেই জন্ম গ্রহণ করে থাকে তাহলে সৃষ্টির কোন না কোন সময়ে এদের যৌন প্রজননও সংঘটিত হতো অর্থাৎ এরা মূলত পূর্বে যৌন প্রজননকারী ছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে কোন না কোন জিনগত পরিবর্তনের ফলে এরা ক্লোনালে পরিণত হয়েছে।
জাপান ও হাওয়াই থেকে পাওয়া নমুনা ডঃ ড্যানিয়াল, শন এবং বাক কে আগ্রহী করে তোলে এদের মূল সম্পর্কে জানতে। তাঁরা সিধান্তে আসেন যদি এদের আদি নিবাস খুঁজে বের করা যায় এবং এদের নমুনা সংগ্রহ করে বিস্তারিত গবেষণা করা যায় তাহলে এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যেতে পারে।
শুরু হল খোঁজঃ পিঁপড়ার আদি ভূমি খুঁজতে গিয়ে দেখা গেলো এর আদিনিবাস এই বাংলার মাটিতে হতে পারে কেননা ভারতে এদের অস্তিত্ব চিহ্নিত করা হয়েছে যদিও বাংলাদেশে কোন রেকর্ড পাওয়া যায়নি তবু তাঁরা ধারণা করলেন, সম্ভবত বাংলাদেশই এই পিঁপড়ার আদিভূমি এবং কালের বিবর্তনে বিভিন্ন ভাবে এরা পৃথিবীর বিভিন্ন দ্বীপ রাষ্ট্রে পাড়ি দিয়েছে। আরও মজার ব্যাপার হল যারা পাড়ি দিয়েছে তারা সবাই একই বংশীয়। যে কারণে এদের জিনগত কোন পার্থক্য নেই। এই পর্যায়ে এসে একটি সিন্ধান্তে পৌঁছানো গেলো যে, যারা ভিনদেশী হয়েছে তারা এক বংশীয় কিন্তু যারা পাড়ি দেয়নি তাদের মধ্যে একই বংশীয় বা ভিন্ন বংশীয় এমনকি যৌন প্রজননকারী আদি বংশীয়রাও থাকতে পারে।
সুতরাং, যাত্রা হল শুরু
শন মাকেঞ্জি ও বাক ট্রিবল পাড়ি দিলেন বাংলার মুলুকে। সঙ্গী আমি লেখক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের স্নাতকোত্তর বর্ষের ছাত্র তাওহীদ হোসাইন আর সদাহাস্য ও প্রাণ রসে ভরপুর গাড়ি চালক শ্যামল রোজারিও।
কী হবে যদি খুঁজে পান Cerapachus biroi ?
বাংলাদেশে কাটানো ১৮ দিনে দুই গবেষক ১০ টিরও বেশি নমুনা কলোনি সংগ্রহ করেছেন এবং প্রাথমিক গবেষণা করেছেন। তাঁদের মূল গবেষণা হবে এই Cerapachus biroi এর নমুনা যেটি বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহ করা হলো তার সাথে জাপান, হাওয়াই ও পৃথিবীর অন্য দ্বীপগুলো থেকে প্রাপ্ত নমুনার সাথে তুলনামূলক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। সেই সাথে দেখা হবে মূল থেকে প্রাপ্ত এবং ভিনদেশী বা ঐ অঞ্চলে অনুপ্রবেশকারী নমুনার মধ্যে কোন জিনগত পার্থক্য আছে কিনা। পরীক্ষা করা হবে বাংলাদেশ থেকে প্রাপ্ত নমুনাগুলো যৌন প্রজননে অংশ গ্রহণ করে কিনা। যদি করে তবে ক্লোনাল বা অযৌন এবং যৌন প্রজননকারীদের মধ্যে জিনগত কোন পার্থক্যের কারণে তারা এমন পরিবর্তিত হলো তা খুঁজে বের করা। এছাড়াও এই প্রজাতির পিঁপড়ার বিস্তারিত জিনগত গবেষণা সম্পন্ন করার ফলে সামগ্রিক ভাবে পিঁপড়ার জিন গবেষণার জন্য একটি মডেল ব্যাখ্যা করা সম্ভব হবে।
পাওয়া গেছে ! পাওয়া গেছে এদেশে cerapachus biroi এর প্রথম কলোনি !!
তবে এই ক্ষেত্রে মজার এবং চ্যালেঞ্জের ব্যাপার হলো, বাংলাদেশে প্রাপ্ত নমুনাগুলোর মধ্যে কোথাও রাণী পিঁপড়া , পিউপা বা লার্ভা পাওয়া যায়নি। শুধু মাত্র কর্মী পিঁপড়া পাওয়া গেছে। সুতরাং প্রাথমিক ভাবে এটা বলা খুব মুশকিল যে, এরা যৌন প্রজনন আদৌ সম্পন্ন করে কিনা।
Cerapachus biroi কোথায় পাওয়া যায় ?
পৃথিবী জুড়ে গ্রীষ্ম প্রধান অঞ্চলের দ্বীপগুলোতে এই প্রজাতির পিঁপড়া দেখা যায়। কিন্তু সবগুলোই এসব দ্বীপে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত। সুতরাং বদ্বীপ বাংলাই হল এদের আদি নিবাস। এসব পিঁপড়ার আবাসস্থল গুলো সাধারণত ছায়াময় স্যাঁতস্যাঁতে বা ভেজা মাটি, ইট, কাঠ ও পাথরের স্তুপের ভেতর হয়ে থাকে। এরা মাটির উপর আসে না। ইটের স্তুপ, কাঠ বা আবর্জনা সরালে এদের মাটির ৫ সেন্টিমিটার এর মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়। তুলনামূলকভাবে এরা স্লথ গতির। মাটির তাপমাত্রা ২৩-২৭ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে এদের দেখা মেলে।
এরা দেখতে কালচে লাল থেকে কালো হয়ে থাকে। কম বয়সী পিঁপড়া সাধারণত কালচে লাল এবং পূর্ণ বয়স্ক পিঁপড়া কালো হয়। ২.৫-৩ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের শরীরে রয়েছে পাঁচটি খণ্ড। প্রথম খণ্ডে এর মাথা, যেখানে এর চোখ, মুখ গহ্বর, এন্টেনা ধারণ করে। দ্বিতীয়টি ধারণ করে এর ছয়টি পা।
তৃতীয় ও চতুর্থ খণ্ড দুটি কাজ করে এর শিকার করার অস্ত্রের কবজা হিসেবে। এই দুটি খণ্ডের সাহায্যে পিঁপড়াটি এর পঞ্চম ও শেষ খণ্ডে অবস্থিত হুলটি আরও ভালোভাবে কাজে লাগিয়ে অন্য পিঁপড়া ও পোকামাকড় শিকার করে। প্রথমে মনে করা হতো এরা শুধু অন্য পিঁপড়ার লার্ভা বা ডিম খেয়ে থাকে কিন্তু বাংলাদেশে কাজ করতে গিয়ে শন ও বাক দেখলেন এরা অন্য পিঁপড়াও শিকার করে।
মাঠের কাজের পাশাপাশি চলছে প্রাথমিক পরীক্ষাগারের কাজ
যে কোন গবেষণাই সময় সাপেক্ষ এবং ধৈর্যের ব্যাপার তবে প্রাপ্তির খাতা যত ভারি হয় গবেষণার আগ্রহ এবং গভীরতা ততই বাড়তে থাকে। বদ্বীপ বাংলাদেশ ভৌগলিকভাবে ক্ষুদ্র হলেও এর প্রাণী ও উদ্ভিদ বৈচিত্র্য অন্য যে কোন দেশের তুলনায় ঈর্ষনীয়। তবে যে কোন কারণেই হোক এ দেশের অর্ধেকের বেশি প্রাণ বৈচিত্র্য এখনও অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে।
সুতরাং, শুধু মাত্র একটি প্রজাতি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে শন ও বাক আরও ৩৫ টি প্রজাতির পিঁপড়া দেখতে পান বাংলাদেশে। এছাড়াও প্রাথমিক গবেষণায় তাঁরা নিশ্চিত হন, বাংলাদেশে পাঁচটি নতুন গণের পিঁপড়ার অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে, যা কিনা কান্ট্রি রেকর্ড হিসেবে ঘোষিত হতে পারে। যে পাঁচটি গণের পিঁপড়া পাওয়া গিয়েছে সেগুলো হলঃ Strumigenys, Centromyrmex, Ponera, Stygmatomma, Mystrium। এছাড়া cerapachus biroi তো আছেই। আরও একটি নমুনা নিয়ে গবেষণা চলছে যেটি হতে পারে প্রাণী জগতে নতুন সংযোজন, তবে তার জন্য আমাদের হয়তো অপেক্ষা করতে হবে অন্তত ছয় মাস।
কাজের ফাঁকে কোন এক সকালে একটা সেলফি হয়ে যাক……
অল্প কিছুদিন অর্থাৎ মাত্র সতেরো দিনের ঝটিকা সফরে যেখানে শুধু মাত্র cerapechus biroi খুঁজে বেড়ানোর কথা, সেখানে তারা খুঁজে পেয়েছেন চাওয়ার চেয়েও অনেক বেশি। এটি আমাদের দেশের পতঙ্গপ্রেমী বন্ধু ও জীব বিজ্ঞানের ছাত্রদের জন্য এক অবারিত রত্ন ভাণ্ডারের জানান দেয়। গবেষণার আর আবিষ্কারের এক বিশাল ক্ষেত্র এখনো আমাদের রয়েছে। বিদেশী বন্ধুরা এসে কাজ করে যান চূড়ান্ত তৃপ্তি আর সুখানুভূতি নিয়ে। এদেশের মানুষের আতিথেয়তা আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রশংসায় তাঁরা হন পঞ্চমুখ।
বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রী আর গবেষকদের জন্য বাক এর পরামর্শ ছিল; অনলাইনে পিঁপড়া বিষয়ক বিভিন্ন ওয়েব সাইটে ভিজিট করা। শেষ এক সপ্তাহে তাঁরা কাজ করেছেন শ্রীমঙ্গলে। লাউয়াছড়া সহ রাধানগরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন আর অজস্রবার শন ও বাকের মুখে শোনা গেছে “ This is beautiful, this country is a heaven, this is away better than New York”
লেখকঃ প্রধান সম্পাদক, এনভাইরনমেন্টমুভ ডটকম
ইংরেজি ফিচারটি পড়তে বা শেয়ার করতে এখানে ক্লিক করুন।