
কোরবানী ঈদ ও প্রাণী অধিকার
সবাইকে জানাই আসন্ন ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা৷ ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী ত্যাগের মহিমায় প্রিয় পশুকে কোরবানী দেওয়া এই ঈদের প্রধান অনুষঙ্গ। একটু খেয়াল করলেই দেখবেন পশু কোরবানী এবং তাদের অধিকার একটি অপরটির সাথে জড়িত। তবে এই লেখা অবশ্যই কোরবানি বা প্রাণী জবাইয়ের বিরুদ্ধে নয়৷ কোরবানী ও প্রাণী অধিকার একে অপরের পরিপূরক। আসুন দেখে নেয়া যাক, কি কি কাজ করলে প্রাণী অধিকার খর্ব হয়।
প্রাণী কেনা-বেচা , আনা-নেওয়া থেকে শুরু করে কোরবানি র্পযন্ত তাদের প্রতি কখনো কখনো যে অমানবিক আচরণ করা হয় তা বড়ই বেদনাদায়ক৷ এগুলো হল-
– গাদাগাদি করে ট্রাক/নৌকায় প্রাণী আনা-নেওয়া করা,
– পেট ফুলানোর জন্য জোরর্পূবক পাইপ দিয়ে পানি ও অতিরিক্ত খাবার খাওয়ানো,
– দ্রুত হাঁটানোর জন্য লেজের নিচে মরিচ বা অন্য কিছু লাগানো,
– অনেক সময় ট্রাকে গরুকে এমনভাবে টানা দিয়ে বাঁধা হয় যে মাথা নাড়ানো দায়,
– খাসি,ছাগল বা ভেড়ার পা বেঁধে মোটর সাইকেলে বহন,
– ছোট ছেলেমেযে়রো (অনেক সময় বড়রাও) প্রাণীকে বেঁধে রাখা অবস্থায় খোঁচা দিয়ে, লাথি দিয়ে অথবা লাঠি দিয়ে আঘাত করে,
– কোরবানির সময় মাটিতে ফেলে টানাটানি করা,
– দেহ নথির হওয়ার র্পূবইে চামড়া ছড়ানো (সবচেয়ে কষ্টকর ব্যাপার, যা র্ধমীয় দৃষ্টিতেও নিষিদ্ধ),
– অন্য প্রাণীর সামনে কোরবানি করা,
– ভোঁতা অস্ত্র ব্যবহার করা ও অধিক সময় ধরে আটকে রাখা,
– কোরবানির পরও পা গুলো বেঁধে রাখা (জবাইয়ের পরপরই বাঁধন কেটে দেওয়া উচিত, যাতে ইচ্ছামত পা সম্প্রসারণ করতে পারে)
উপরে উল্লিখিত ঘটনাগুলো প্রাণী অধিকারের পরিপন্থী৷ আপনাকে পছন্দের প্রাণী উৎর্সগ করতে বলা হয়ছে, অবশ্যই এক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।তাকে অযথা কষ্ট দেওয়া যাবে না৷ র্ধমীয় বিধানেও অধিক কষ্ট দেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
মনে রাখবেন- শুধু প্রাণী নয়, মনের পশুটিকেও কোরবানি দিতে হবে। যে প্রাণীটিকে কোরবানি দিবেন, তাকে ভালবাসুন৷ তবেই আপনার কোরবানি অর্থবহ হবে ।
হারুন-অর-রশিদ
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,
প্রাধিকার, সিকৃবি
Good work Harun…