
মর্ত্যলোকের স্বর্গরাজ্য-২
মাহবুব রেজওয়ান
হিটাচি সী সাইড পার্কঃ
জাপানের হিটাচিনাকাতে অবস্থিত এই অনিন্দ্য সুন্দর পার্কটি প্রায় ১৯০ একর এলাকা জুড়ে ফুলে ফুলে সজ্জিত হয়ে আছে। অপরুপ সুন্দর এই ফুলের বাগান পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে পুরো বছর জুড়েই। কারণ, সারা বছর আপনি এখানে নানা রকম ফুলের সমারোহ দেখতে পাবেন। এই ফুলেল অরণ্যে বসন্ত ঋতুতে ৪.৫ মিলিয়নেরও বেশি বেবি-ব্লু-আই ফুল ফুটে থাকে। এছাড়াও এখানে বছরজুড়ে এক মিলিয়নের বেশি ড্যাফোডিল ফুল, ১৭০ রকমের টিউলিপ ফুলসহ আরও নানা প্রজাতির ফুল ফোটে। এতো অসংখ্য ফুল আর ফুলের গন্ধে এখানকার পরিবেশ যেন এক টুকরো স্বর্গভূমি!
নাইকা মাইনঃ
মেক্সিকোর চিহুয়াহুয়া স্টেটে অবস্থিত এই খনিটিকে ঠিক স্বর্গপুরী বলা না গেলেও এই খনির ভেতরটা দেখলে আপনার চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। খনিটি মূলত লেড, জিংক এবং সিলভারের খনি। খনিটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০০০ ফুট নিচে অবস্থিত। এই খনির সবথেকে আশ্চর্যজনক ব্যাপার হচ্ছে এখানে উপস্থিত সেলেনাইট ক্রিস্টাল। এই ক্রিস্টালের লম্বা লম্বা পাতগুলো খনির মাথা থেকে তলা পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে। আর ক্রিস্টালের পাতগুলো খুব সাধারন নয়। একেকটি পাত প্রায় ৫০ ফুট লম্বা আর ৩ থেকে ৪ ফুট পর্যন্ত একেকটির প্রস্থ। মাটির নিচের ম্যাগমা চেম্বারে উপস্থিত হাইড্রোথার্মাল ফ্লুয়িড থেকে এদের উৎপত্তি।
লেক রেটবাঃ
‘পিংক লেক’ নামে পরিচিত এই লেকটির অবস্থান আফ্রিকার দেশ সেনেগালে। লেকটির পানি দেখে আপনার মনে হতে বাধ্য এটি হয়তো স্ট্রবেরী মিল্কশেক দিয়ে তৈরি কোন লেক। লেকটির এই গোলাপি রং লেকটিকে পরিণত করেছে এক অসাধারণ পর্যটন কেন্দ্রে। এই অদ্ভুত রং এর কারণ হচ্ছে Dunaliella salina নামক এক প্রকার এলজি। এরা সূর্যের আলো থেকে অধিক শক্তি শোষণ করতে এক ধরণের লাল পিগমেন্ত পানিতে ছড়িয়ে দেয়। যার কারণে পানির রং লাল হয়। এই লেকের পানিতে আপনি চাইলে ভেসেও থাকতে পারবেন। তার কারণ, লেকের পানির অধিক লবনাক্ততা। সেনেগালের লবণ শিল্পে এই লেকের ভূমিকা রয়েছে। দেখতে স্ট্রবেরী মিল্কশেকের মতো হলেও অধিক লবনাক্ততার কারণে এই পানি আপনি খেতে পারবেন না।
এনভাইরনমেন্টমুভ ডটকম ডেস্ক