নো ডায়েট! নাহয় শুরু হোক আজ থেকেই?
হুমায়রা হেদায়েত স্বর্ণা
সুস্থ শরীরের চেয়ে আমরা সৌন্দর্যমণ্ডিত শরীরের দিকে বেশি ঝুঁকে পরছি। তাই প্রতিনিয়ত শারীরিক সৌন্দর্য বর্ধনে বিভিন্ন ডায়েট চার্টের আওতায় নিজেরা নিমগ্ন হচ্ছি। অথচ, সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য যে সুস্থ স্বাস্থ্যের প্রয়োজন সে বিষয় নিয়ে খুব কমই মাথা ঘামাচ্ছি।
শারীরিক আকৃতি দিয়ে কখনো সুস্থতা পরিমাপ করা যায় না। আপনি রোগা তাই বলে এটা ভাববেন না যে আপনি সুস্থ দেহের অধিকারি। আবার আপনি মুটিয়ে পরেছেন এটাও কোনো অসুস্থতার লক্ষণ নয়। এর উল্টো ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই, দৈহিক কাঠামো কখনও সুস্থতার মাপকাঠি নয়। আর এই বিষয়টাকেই মাথায় রেখে, প্রতি বছর ৬ই মে ‘আন্তর্জাতিক নো ডায়েট দিবস’ পালন করা হয়।
সুস্থ জীবন শৈলী প্রচারণা আর নিয়ন্ত্রিত বিপদজনক খাদ্যাভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসার জন্যই ‘নো ডায়েট দিবস’ টি পালন করা হয়। “ডায়েট ব্রেকার” গ্রুপের পরিচালক মেরি ইভান্স ইয়াং প্রথম এই দিবসটি পালন করেন। আহার ব্যাধি (anorexia nervosa) নামক রোগের সাথে সংগ্রামের পর তিনি মানুষের মাঝে এটা অনুধাবন করাতে চেয়েছিলেন যে, মানুষ যেনো তার নিজস্ব শারীরিক আকৃতি নিয়ে খুশি থাকে। ১৯৯২ সালে লন্ডনে প্রথম জাতীয়ভাবে দিনটি পালন করা হয়। পরে তিনি এই দিবসটি আন্তর্জাতিকভাবে পালনের চেষ্টা শুরু করেন। এর পরে ১৯৯৩ সালে, ইয়ং এর ধারণা অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ডেনমার্ক, ইসরাইল, ভারত ইত্যাদি আরো অনেক দেশের নারীবাদী দল দ্বারা সমর্থিত হয়। এই দিবসটির প্রতীকি চিহ্নও রয়েছে; অনেকটা এইডস দিবসের প্রতীকের মত, শুধু রঙটা ভিন্ন, হালকা নীল।
ভোজন রসিক অথচ নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের জন্য জীবন জর্জরিত, তাঁদের জন্য আসলেই দিনটি সস্তির নিঃশ্বাস ফেলার মতই একটি দিন। তবে অতিরিক্ত কোনোকিছুর ফলাফলই কিন্তু ভালো নয়, পরিমিত বোধ থাকা চাই।