ছবিতে বিস্ময়- বুদ্ধিমান শিকারি ওরাং ওটাং !
শাওন চৌধুরী
অনেক সময়েই বিভিন্ন কাজের জন্য নানান ধরণের প্রাণিদেরকে নানান জিনিস ব্যবহার করতে দেখা যায় যা নিঃসন্দেহে অবাক করার মতো ব্যাপার। কিছুদিন আগে বোর্ণিওতে এমন এক ঘটনা ঘটেছে যা জানলে অনেক সাধারণ মানুষের চক্ষু অনেকটা চড়কগাছে ওঠার মতো অবস্থা হতে পারে! সম্প্রতি ঐ অঞ্চলে কাজ করার সময়ে গার্ড স্কুস্টার নামক গবেষক ঐ অসাধারণ মুহুর্তটি ক্যামেরাবন্দী করতে পেরেছেন।
‘ওরাং ওটাং’ একটি মালয় শব্দ যার অর্থ ‘বনের মানুষ’, অনেকের ধারণা প্রাচীনযুগে বনে বসবাসকারী মানুষদেরকেই এই নামে অভিহিত করা হতো!! এদের বসবাসের জন্য অনেক উঁচু উঁচু গাছ প্রয়োজন এবং এরা সাধারণত গাছে থাকা অবস্থাতেই সব ধরণের কাজ সম্পাদন করে থাকে। যার কারণে বোর্ণিও ও সুমাত্রা ছাড়া এদের দেখতে পাওয়া যায়না।
আলোকচিত্রীর ভাষায়, “ওরাং-ওটাঙটি কোনরকম নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে নদীর পাশে ঝুলন্ত এক লতা ধরে লাঠি হাতে মাছ শিকারের জন্য স্থির হয়ে অপেক্ষা করছিল যে কখন তার পাশ দিয়ে কোন মাছ যাবে আর সে শিকার করবে! এই ঘটনাটি বোর্ণিও এর কাজা নামক দ্বীপে দেখা গেছে। স্থানীয়দের মতে তাঁরা বর্শা হাতে ওরাং-ওটাংকে মাছ ধরতে দেখেছেন। এভাবে লাঠি দিয়ে মাছ শিকার করা খুব সহজ কাজ না হবার কারণে অনেক সময়েই এরা স্থানীয়দের জালে ধরা পড়া মাছ খায়। “
নৃ-বিদদের মতে, যেকোন প্রাণির শিকারের সময় সংস্কৃতির অংশ হিসেবে বিবেচ্য এরা সাধারণত লাঠি বা অন্য কিছু দিয়ে গাছের পাতার মধ্য দিয়ে উঁকি দেয়া ফল গেঁথে নিজের কাছে নিয়ে এসে খাবার হিসেবে গ্রহণ করে। এর আগে, সুমাত্রাতে প্রাপ্ত ওরাং ওটাং-দেরকেই বিভিন্ন আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র ব্যবহার করতে দেখা গেছে। সর্বপ্রথম ক্যারেল ভ্যান স্ক্যায়েইক এমন দৃশ্য দেখতে পান।