প্রাধিকার পালন করলো বিশ্ব বন্যপ্রাণি দিবস ২০১৭
“শোন তারুণ্যের আহবান” এই স্লোগান কে সামনে রেখে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হলো বিশ্ব বন্যপ্রাণি দিবস ২০১৭। এ উপলক্ষে ভেটেরিনারি এবং এনিম্যাল সায়েন্স অনুষদ এর সামনে থেকে আয়োজন করা হয় একটি সচেতনতা মূলক র্যালির। র্যালিতে প্রাধিকার এর সকল সাধারণ সদস্য এবং নির্বাহী সদস্য উপস্থিত ছিলেন। র্যালির নেতৃত্ব দেন বায়োটেকনোলজি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ড্বীন প্রফেসর ডঃ মোঃ মেহেদি হাসান খান স্যার।
র্যালি শেষে মাইক্রোবায়োলজি গ্যালারিতে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। দিবসের উপর এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক ড: মাহফুজুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বায়োটেকনোলজি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ড্বীন প্রফেসর মেহেদী হাসান খান । এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন মাইক্রোবায়োলজি এবং ইমিউনলজি বিভাগের শিক্ষক ডঃ তরিকুল ইসলাম।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন প্রাধিকার এর সহকারি কোষাদক্ষ আসাদুজ্জামান গালিব। সেমিনার শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাধিকার পাবলিক রিলেশন
সেক্রেটারি মোঃ আনিসুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশে চট্টগ্রাম এবং বিভিন্ন অঞ্চলে অনেকগুলো প্রাণি আজ বিলুপ্তির পথে। এদেরকে সংরক্ষণের জন্য এখন থেকেই সচেতনতা মূলক কাজ করে যেতে হবে। এছাড়াও প্রত্যেক অঞ্চলের বিশেষ কিছু প্রাণি ঐ অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে। এদের সংরক্ষণ না করলে পরিবেশ সংরক্ষণ অসম্ভব।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ডঃ মেহেদি হাসান খান স্যার বলেন “প্রত্যেক বছর স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা শুধু মাত্র নিজেদের ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য ৫ থেকে ৬ লক্ষ ব্যাঙ হত্যা করছে। এছাড়াও মানুষ প্রতি বছর বছর নিজেদের বাসস্থান এবং শিল্পায়ন এর জন্য বনাঞ্চল ধ্বংস করছে, এতে করে বন্যপ্রাণি হারাচ্ছে তাদের আবাসস্থল। এই অবস্থা প্রতিকারের জন্য আমাদের তরুণ সমাজেরই এগিয়ে আসতে হবে”।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রাধিকার ফিশারিজ উইংস এর অর্গানাইজিং সেক্রেটারি নুরুন্নবী নিশাদ। এরপর আজকের সেমিনার এর কি-নোট প্রেজেন্টেশন করেন প্রাধিকার এর আইন বিষয়ক সেক্রেটারি সায়েদ আরিফ এবং হিউম্যান রিসোর্স সেক্রেটারি মহিউদ্দীন রিফাত।
সবশেষে অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্য রাখেন ডঃ মাফফুজুর রহমান স্যার। বক্তব্যে স্যার বলেন “প্রাধিকার প্রতি বছর বিভিন্ন দিবসে এরকম সচেতনতা
বিষয়ক অনুষ্ঠান গুলো করে থাকে যাতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সচেতন হয়ে অন্যদেরকে সচেতন করে তুলতে পারে। এছাড়াও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এর নতুন আইন এর বাস্তবায়ন যাতে ঠিক ভাবে হয় এজন্যেও আমাদের তরুণ সমাজকেই কাজ করে যেতে হবে বলে জানান তিনি।”