
মহাসাগরের ছয় অদ্ভুত সৃষ্টি !!!!
মোঃ সাইফুল ইসলাম
মহাবিশ্বের সর্বত্রই বিরাজমান রয়েছে নানা ধরনের প্রাণি। জলে কিংবা স্থলে সর্বত্র রয়েছে এদের বিস্তৃতি। এদের কেউ সৌন্দর্যে আপনাকে মুগ্ধ করবে আবার কাউকে দেখলে আপনার ভয়ে শরীর কেঁপে উঠবে। এখন মহাসমুদ্রে বিচরণশীল ছয়টি ভয়ংকর ও অদ্ভুত সৃষ্টি এই প্রাণিদের নিয়ে এই আয়োজন।
হ্যাচেটফিশ: ভয়ংকর এই হ্যাচেটফিশ সম্পর্কে এখনও বেশি তথ্য জানা যায়নি। বিষন্ন প্রকৃতির দেখতে এদের বেশি খাবারের প্রয়োজন পড়েনা। এদের দৈহিক গঠন কুঠারের ফলকের মত, বুক রুপালী রঙের। এরা সাধারণত ১-৫ ইঞ্চি লম্বা হয়।দেখতে বিদ্ঘুটে। এদের দেখতে হলে আপনাকে প্রশান্ত, ভারত ও আটলান্টিক মহাসমুদ্রের কমপক্ষে ৫০মিটার নিচে যেতে হবে।
ব্লবফিশ: এটি অনেক বেশি জেলাটিন সমৃদ্ধ হয়। আঠালো এই ব্লবফিশ ২০১৩ সালে বিশ্বের সবচেয় বীভৎস প্রাণির তালিকায় উঠে আসে।এর চামড়া অনেক পুরু হয়, কারণ হিসেবে বলা হয় সমুদ্রের গভীরে পানির চাপের জন্য এভাবেই অভিযোজিত হয়েছে।
ফ্যাংজটুথ: শরীরের আকারের তুলনায় সমুদ্রে প্রাপ্ত যেকোন প্রাণির থেকে এদের দাঁত অনেক বড়। এরা সাধারণত সমুদ্রের প্রায় ১৬৪০০ ফুট নিচে বিচরণ করে। এদের চোখের দৃষ্টি ততটা ভাল নয়। শান্ত স্বভাবের হলেও সমুদ্র তলদেশে দেখা মাত্রই ভয় পেয়ে যেতে পারেন যেকেউই।
সি কিউকাম্বার: কিউকাম্বার বা সমুদ্র শসা। একানোডার্মাটা পর্বের এই প্রাণিদের কাঁটার মত শরীর দেখলে হৃদয় কেঁপে উঠবে। এদের মস্তিষ্ক এবং সংবেদী অঙ্গ ততটা উন্নত নয়। শত্রু থেকে বাঁচতে এরা নিজের শরীর সংকোচন-প্রসারণের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ অঙ্গের অনেককিছুই পায়ুপথ দিয়ে বের করে দেয়। তারা মাছ, সী আর্চিন এই পর্বের অন্তর্ভূক্ত।
ফ্লামিঙ্গো টাং স্নেইল: আটলান্টিক মহাসমুদ্র ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপ পুঞ্জে এটি পাওয়া যায়। এরা বিষাক্ত সামুদ্রিক প্রবালের (সী ফ্যান) উপর জীবনধারণ করে থাকে। সী ফ্যান থেকে শুষে নেয়া বিষে নিজেরা বিষাক্ত হয়ে থাকে। এ বিষ তার নিজের জন্য ক্ষতিকর নয়।
অ্যাংলার ফিস: অ্যাংলার ফিস সম্ভবত মানুষের জানা সব থেকে অদ্ভুত চিত্তাকর্ষক সামুদ্রিক প্রাণী। এটি খুবই ছলনাময় শিকারী এবং এর প্রজনন প্রক্রিয়াও অদ্বিতীয়। বিজ্ঞানীরা প্রথম যখন খুঁজে পান তখন সেখানে শুধু স্ত্রী অ্যাংলার ফিস ছিল।
পুরুষ অ্যাংলার ফিস স্ত্রী ফিসকে পাওয়া মাত্রই তার চামড়ায় কামড় দেয়। এভাবে একসাথে লেগে যায় এবং কামড়ানো চামড়ায় গোলাকার অণ্ডকোষের সৃষ্টি হয়। স্ত্রী যখন প্রস্তুত হয়ে যায় তখন পুরুষটি সেখানে শুক্রাণু দিয়ে দেয়। এভাবেই সেটি গর্ভবতী হয়।
লেখক: শিক্ষার্থী- চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়।
Email: sohelsaiful13405@gmail.com