
সুপারম্যানের ভিন্ন-যাত্রা !
ফারজানা হালিম নির্জন
“ম্যান অব স্টীল”- শিহরণ জাগানো এক উপাধি নিয়ে বিশ্ব-কাঁপানো জনপ্রিয় নায়কের নাম হ্যানরী কেভিল। শুধু কি তাই? নিয়মিত কাঁপাচ্ছেন কত নারী-হৃদয়। ইস্পাতের মত ব্যাক্তিত্ব তাকে করেছে আরও মহান। সেজন্যই কিনা তিনি “সুপারম্যান” ! সুপারম্যানের ভক্তরা মনে মনে অপেক্ষা করছেন কেভিল অভিনীত নতুন রোমাঞ্চকর সিক্যুয়েলটির জন্য। আর কেভিল তাঁর সমস্ত পাওয়ার নিয়ে মাঠে নেমেছেন অন্য এক রূপে,অন্য এক মিশনে! বিশ্বখ্যাত হ্যানরী কেভিল যুক্ত হয়েছেন “ডার্যেল ওয়াইল্ড-লাইফ পার্ক” এর সঙ্গে। লক্ষ্য হলো একটাই- বিলুপ্তপ্রায় জীব-বৈচিত্র্য রক্ষা করা।
যুক্তরাজ্যের জার্সি নামক এক সবুজ দ্বীপে জন্ম এই সুপারম্যান হ্যানরী কেভিলের। সেই দ্বীপেই আছে প্রকৃতির এক নিবিড় আশ্রয়স্থল, “ডার্যেল ওয়াইল্ড-লাইফ ইকো-পার্ক”। জিরাল্ড ডার্যেল, যার নামানুসারে এই সবুজ প্রতিষ্ঠানের নাম, জীবজগতের প্রতি ভালোবাসায় তাঁর কৃতিত্ব অসীম। অন্য কোনো লেখায় থাকবে ড্যারেলের জীবন-কথা। ফিরে আসি আমাদের কেভিলের কাছে। ৩১ বছর বয়েসী কেভিল সম্প্রতিই এই পার্কে ঘুরে আসেন এবং উপলব্ধি করেন, দেরী করার সময় আর নেই। সবাইকে একসাথে সোচ্চার হতে হবে,বাঁচাতে হবে প্রাণ-বৈচিত্র্য! আর তাই মন-প্রাণ ঢেলে দিয়ে নেমে পড়লেন এই অভিযানে।
“I’m enormously proud to be part of a team that makes such a huge positive impact on the world. Durrell is an organization with a mission I can really get behind. I feel that saving the diversity of life on our planet will be seen as increasingly important in the not-too-distant future. I genuinely believe that Durrell provide hope for those endangered animals that others may have given up on already. They ‘do the seemingly impossible’; I would be truly humbled if I help to make that possible.”
ভ্রমণ শেষে এই কথাগুলোই বলে যান হ্যানরি কেভিল। new Cavill Conservation website–এর মাধ্যমে এই বিশ্বখ্যাত অভিনেতা আশা ব্যাক্ত করে মর্মকথা রূপে এটুকুই বুঝিয়ে দিলেন, ‘আমাদের সকলের উচিত ডার্যেলের স্বপ্ন ও কাজের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো।’ কেভিলের উচ্চারিত প্রতিটি কথাই কিছু একটার ইঙ্গিত করছে যেন! এতো বড় পৃথিবীটাতে কত প্রাণের মেলা প্রতিটি জীবনকে স্পন্দিত করছে একই সুরে। কোথায় এক অদৃশ্য মিল নিয়ে বেঁচে আছি আমরা। প্রাণিজগতের প্রতিটি প্রজাতির মাঝে প্রকৃতির তৈরী সেই অদৃশ্য বন্ধন যেন আমাদের অনুভূতিগুলোকে ক্ষণে ক্ষণে জাগিয়ে তোলে। এই ভালোবাসা আর সম্প্রীতি যদি আমরা অটুট না রাখি,তবে যে অভিমান নিয়ে বিদায় নিতে থাকবে এ্কের পর এক প্রাণ-অস্তিত্ব! সুপারম্যান হ্যানরি কেভিলের এই মহান উদ্যোগ,উদ্যোগী করে তুলুক আরো বহু মানুষকে…