তরুণদের দাবীঃ বাইসাইকেল লেন চাই; নিরাপদ গণপরিবহন চাই
সকলের জন্য নিরাপদ ও পর্যাপ্ত গণপরিবহণ এবং বাইসাইকেলের জন্য পৃথক লেনের দাবী জানিয়েছে জেন্ডার অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টেশন বাংলাদেশ ওয়ার্কিং টিম। ৮ অগাস্ট, ২০১৫, সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জেন্ডার অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টেশন বাংলাদেশ ওয়ার্কিং টিম-GTBWT এক মানব বন্ধনের আয়োজন করে। উক্ত মানব বন্ধনে GTBWT সবার জন্য বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ ও পরিবেশসম্মত গণপরিবহণ নিশ্চিত করার দাবী জানান।
৮১৫.৮ বর্গ কিলোমিটারের এই ঢাকা শহর প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ লোকের আবাসস্থল। ঢাকা শহরের মোট আয়তনের কেবল ৭.৫% জায়গা রাস্তার জন্য বরাদ্দ, যা এই বিশাল জনসংখ্যার তুলনায় খুবই অপ্রতুল। ঢাকার অভ্যন্তরে চলাচলের জন্য মানুষজন সাধারনত বাস, রিক্সা এবং টেম্পো ব্যবহার করে। প্রতি বছর ঢাকার জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে, এবং তার সাথে সাথে গণপরিবহণ সংকটও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
বিগত কয়েক বছরে ঢাকায় কর্মজীবী নারীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু বর্তমানে আমাদের গণপরিবহণ ব্যবস্থা নারীদের যাতায়াতের উপযোগী নয়। অধিকাংশ নারীরা গণপরিবহনে বিশেষ করে বাসে যাতায়াতের ক্ষেত্রে ঠিক সময়ে যানবাহন না পাওয়া, যানবাহনে অনিরাপত্তা, বাসে ও গাড়িতে উঠতে বাঁধা পাওয়া ও যৌন হয়রানির স্বীকার হচ্ছে।
ঢাকার যাতায়াত ব্যবস্থাকে আরো নিরাপদ, নির্বিঘ্ন ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ন করতে জেন্ডার অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টেশন বাংলাদেশ ওয়ার্কিং টিম (Gender & Transportation Bangladesh Working Team-GTBWT), এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোসাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন –এসডো, WiSE (ওয়াইজ) বাংলাদেশ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা কমিশন এবং বিশ্ব ব্যাংকের সাথে সম্মিলিত ভাবে কাজ করছে।
জেন্ডার অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টেশন বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য পুরুষ এবং নারীদের জন্য পর্যাপ্ত গণপরিবহন নিশ্চিন্ত করা, সাইক্লিং এ উৎসাহ প্রদান করা, যানবাহনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সহজ চলাচলের জন্য ফুটপাত পুন রুদ্ধার করা, দুই দরজা বিশিষ্ট বাস সার্ভিস চালু করা, মহিলাদের জন্য বরাদ্দকৃত বাসের চালক এবং সহকারীকে অবশ্যই নারী হতে হবে, এবং তাদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং যানবাহনে নারী ও পুরুষের জন্য সমান সংখ্যক সিটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
ওয়াইজ (WiSE) বাংলাদেশের সভাপতি সিদ্দীকা সুলতানা বলেন, সরকারের উচিত সাইক্লিং করার জন্য ফুটপাতের পাশাপাশি আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা। তিনি আরো বলেন, সাইক্লিং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তাই নয়, এটি পরিবেশ বান্ধবও বটে। অতিরিক্ত যানবাহনের ধোঁয়া পরিবেশ দূষণের মাধ্যমে ঢাকা শহরকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছে। তিনি মনে করেন সাইক্লিং হতে পারে ঢাকা শহরকে পরিবেশ দূষণমুক্ত করার প্রথম প্রদক্ষেপ।